গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নির্বাচনি সহিংসতা মামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও কোচাশহর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান মণ্ডলসহ ১১৯ জনের জামিন নামঞ্জুর করে করাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
কারাগারে পাঠানো উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ফিরোজ খানুন, পৌর যুবলীগের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, উপজেলা কৃষকলীগের দপ্তর সম্পাদক বোরহান উদ্দিন লেলিন, উপজেলা যুবলীগের সদস্য জলিল, কোচাশহর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আশাদুল ইসলাম, শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবুল হোসেন, শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান রোকন আকন্দ। এছাড়া মামলার এজাহার নামীয় ২০ থেকে ২৫ জন (মোটরসাইকেল) প্রতীকের কর্মী-সমর্থক হলেও বাকি আসামি সকলেই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।
সোমবার রাত ৮টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ চৌকি আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. মিজানুর রহমান মিজান জানান, আদালতে হাজতি একজন ও ১১৮ জন সশরীরে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন।
আদালতে শুনানি শেষে আসামি পক্ষের আইনজীবী ভবেশ চন্দ্র বলেন, একটি মিথ্যা ও সাজানো মামলায় আদালত ১১৯ জনের জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের জেরেই বাদি শহিদুল ইসলাম উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে মামলাটি দায়ের করেন। আসামিদের জামিনে জজ আদালতে আবেদন করা হবে।
বাদীর অভিযোগ, উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী আব্দুল লতিফ প্রধানের (মোটরসাইকেল) প্রতীকের কর্মী-সমর্থক সংঘবদ্ধ হয়ে তার বাড়িতে প্রবেশ করে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট, অগ্নিসংযোগ করে ক্ষতিসাধণ ও ভয়ভীতি এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে তার দুই কোটি পয়তাল্লিশ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে থানায় মামলা করেছি।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় ধাপে গত ২১ মে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ চলাকালে বেলা ১১টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের পাড়া কচুয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের বসতবাড়িতে হামলা, মারপিট, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে গত ২৫ মে রাতে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা একটি মামলা করেন। মামলায় ১৩৩ জন নামীয় আসামি হলেও একই আসামির নাম দুইবার হওয়ায় ১৩১ জন মুল ও অজ্ঞাত ১০০/২০০ জনকে আসামি করা হয়।এদের মধ্যে একজন আসামি গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।