চীনের উহান থেকে বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্র।
প্রথম দিকে মহামারীকে গুরুত্ব না দেয়া ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার এখন কোভিড-১৯ মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছেন।মৃত্যুর মিছিলে যোগ দিয়েছেন দেশটির প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ।
আক্রান্ত ও মৃত্যু কোনোটিতেই যুক্তরাষ্ট্রের ধারেকাছেও নেই কোনো দেশ।
করোনায় প্রাণহানি ও আক্রান্তদের পরিসংখ্যান রাখা আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়াল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ লাখ ৬৩ হাজার ২২৪ জন। আর মারা গেছেন ৭৪ হাজার ৮০৯ জন।
সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ লাখ ১৩ হাজার ১০৯ জন।
দেশটিতে বর্তমানে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ৯ লাখ ৭৫ হাজার ২৯২টি। অপরদিকে ১৫ হাজার ৮২৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, দেশটিতে একদিনেই ২৪ হাজার ২৫২ জন আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ২ হাজার ৩৬৭ জন।
জনস হপকিন্সের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১২ লাখ ২৮ হাজার ৬০৩ এবং মারা গেছে ৭৩ হাজার ৪৩১ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যেই করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। তবে করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য। সেখানে অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের তুলনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
নিউইয়র্কে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৪৯১ জন এবং মারা গেছে ২৫ হাজার ৯৫৬ জন। অপরদিকে নিউ জার্সিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫৯ এবং মারা গেছে ৮ হাজার ৫৭২ জন।
এদিকে, ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যে আক্রান্ত হয়েছে ৭২ হাজার ২৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৪২০ জনের। অপরদিকে, ইলিনয়েস অঙ্গরাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮ হাজার ২৩২ এবং মারা গেছে ২ হাজার ৯৭৪ জন। ক্যালিফোর্নিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজার ৫৯৫ এবং মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৪৬০ জনের।
এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২১২টি দেশ ও অঞ্চলে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুতে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ধারে-কাছেও নেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করেছে।