দেশের বন্যাকবলিত ১২টি জেলায় ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ মোবাইল টাওয়ার অচল হয়ে গেছে। ফেনী ও খাগড়াছড়ি জেলার প্রায় অর্ধেক মোবাইল টাওয়ার কাজ করছে না। এসব এলাকায় নেটওয়ার্কব্যবস্থা সচল রাখতে ভি-স্যাট পাঠানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
এতে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত বন্যাকবলিত ১২টি জেলায় মোট ১২ হাজার ১৭৯টি টাওয়ারের মধ্যে ১০ হাজার ১৫৪টি টাওয়ার সচল থাকার কথা জানানো হয়। টাওয়ার অচল হয়েছে ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফেনীতে, এই জেলার টাওয়ারের ৭১ শতাংশ অচল হয়ে গেছে। আর খাগড়াছড়ির ৪৫ দশমিক ২ শতাংশ টাওয়ার এখন অচল আছে। এসব টাওয়ার সচল করতে কাজ করা হচ্ছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বন্যাকবলিত এলাকার নেটওয়ার্কব্যবস্থা সচল রাখতে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির সহায়তায় ১০টি ভি-স্যাট (ভেরি স্মল অ্যাপারেচার টার্মিনাল) প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে পাঁচটি ভি-স্যাট ফেনীর জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
টেলিকম অপারেটরদের টাওয়ারগুলো সচল রাখার জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ-সংযোগ নিশ্চিত করতে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিটিআরসি সমন্বয় করছে। এ ছাড়া অপারেটরদের নেটওয়ার্কব্যবস্থা সচল রাখতে পর্যাপ্ত পাওয়ার ব্যাকআপের (ব্যাটারি ব্যাকআপ, ডিজেল জেনারেটর, পোর্টেবল
জেনারেটর ইত্যাদি) ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দেশের চার মোবাইল অপারেটর বন্যাকবলিত এলাকার মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য ৫০০ মেগাবাইট ডেটা ফ্রি করেছে।
বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিতে ফেনী, কুমিল্লাসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার ডাক, টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এ ছাড়া বিটিআরসি, বিটিসিএল ?ও টেলিটক ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম গঠন করেছে।