সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাতকে গ্রেফতার নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয় বলে খবর আসে। তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) একটি সূত্র আরাফাতকে গ্রেফতারের আভাস দিলেও ডিএমপি কিংবা তাদের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) পক্ষ থেকে এ বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য দিতে পারেনি।
আরাফাত ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হন তিনি। এরপর থেকে দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ে কাজ শুরু করেন। চিত্রনায়ক ফারুক মারা গেলে ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান আরাফাত। ২০২৩ সালের অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে হিরো আলমকে হারিয়ে সংসদ সদস্য হয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি। তিনি কোথায় আছেন, সে সম্পর্কেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
আরাফাত ঢাকার ফরাসি দূতাবাসে লুকিয়ে রয়েছেন- গত ১৪ আগস্ট এমন তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানায় ঢাকার ফরাসি দূতাবাস।
ফ্রান্স দূতাবাস জানায়, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত ফরাসি দূতাবাসে লুকিয়ে আছেন, এমন গুজব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। তবে এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এদিকে গত ১২ আগস্ট মোহাম্মদ আলী আরাফাত, তার স্ত্রী ও তাদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিত করার আদেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংকর আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ। সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়।
মোহাম্মদ আলী আরাফাত কয়েক বছর ধরে আওয়ামী লীগের হয়ে নানা বুদ্ধিবৃত্তিক কাজে যুক্ত ছিলেন। টক শোতে আওয়ামী লীগ ও সরকারের পক্ষে কথা বলেন।