ব্রিটেনের ব্ল্যাকবার্নে গুলি করে মুসলিম তরুণীকে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার বিকেলে ওই তরুণীকে হত্যা করা হয়। সোমবার পুলিশ ৩৩, ৩৬ ও ৩৯ বছর বয়সী ওই তিন ব্যক্তিকে আটক করে।
ল্যাংকাশায়ার পুলিশ জানিয়েছে, আটককৃতদের পুলিশ কাস্টডিতে রাখা হয়েছে। এছাড়া আমরা ওই এলাকার সিসিটিভি পরীক্ষা ছাড়াও হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ধারে আরো কয়েকটি বিষয় নিয়ে কাজ করছি। প্রত্যক্ষদর্শী গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজনের সাথে আমরা ওই বিষয়ে কথাও বলেছি।
ব্ল্যাকবার্ন এলাকায় শপিং সেন্টারের বাইরে রোববার বেলা তিনটার দিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে আয়া হাশেম (১৯) নামে ওই তরুণী নিহত হন। লেবানিজ বংশোদ্ভূত ওই তরুণী স্থানীয় সালফোর্ড ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় বর্ষের আইনের ছাত্রী ছিলেন। স্থানীয় লিডল সুপার মার্কেটের বাইরে একটি গাড়ি থেকে তাকে গুলি করা হয়। তিনি তখন পরিবারের সদস্যদের সাথে শপিংয়ে এসেছিলেন।
পুলিশের ধারণা, ওয়েলিংটন রোডে যে গাড়ি থেকে তাকে গুলি করা হয়েছে তা একটি টয়োটা অ্যাভেনসিস গাড়ি। গাড়িটি পরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকদের জানান, গাড়ির জানালা থেকে বন্দুক বের করে গুলি করা হয়। গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ও প্যারামেডিকেল দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। গুলিবিদ্ধ আয়াকে হাসপাতালে নেয়া হলেও তার মৃত্যু হয়।
আয়া হাশেম চিলড্রেনস সোসাইটির একজন তরুণ ট্রাস্টি ছিলেন। প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী মার্ক রাসেল বিবিসিকে বলেন, সে ছিলো সত্যিকার অর্থেই তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণামূলক কণ্ঠ।
ব্ল্যাকবার্ন ও ডারউইন অঞ্চলে আশ্রয়প্রার্থী এবং শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা দাতব্য সংস্থা দ্য অ্যাসাইলাম অ্যান্ড রিফিউজি কমিউনিটি বলেছে, সে কাণ্ডজ্ঞানহীন হত্যাকাণ্ডের শিকার।
ময়নাতদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, একটি গুলিতে তার মৃত্যু হয়।
আয়ার বাবা ইসমাইল মেয়েকে হারিয়ে বলেছেন, আমার মেয়ে বেশ সাহসী ছিলো। চার সন্তানের এই বাবা ফেসবুকে আইনজীবী আয়া ইসমাইল হাশেমের জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।