ইসরায়েলের সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। ইতিমধ্যে তারা নতুন শীর্ষ কমান্ড গঠন করেছে। একাধিক সূত্রের বরাতে এমনটাই দাবি করেছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
হিজবুল্লাহর এক শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার জানিয়েছেন, হাসান নাসরাল্লাহ নিহত হওয়ার তিন দিনের মধ্যে নতুন একটি কমান্ড সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তার কার্যক্রমও শুরু হয়ে গেছে।
ইসরায়েলের থিংকট্যাঙ্ক সংস্থা আলমার বিশ্লেষক ও কর্মকর্তা আভরাহাম লেভিন রয়টার্সকে বলেন, ‘আইডিএফের হামলায় শুধু হিজবুল্লাহর হাইকমান্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, গোষ্ঠীটির অস্ত্রভাণ্ডার, যোদ্ধাবাহিনী ও অন্যান্য সক্ষমতায় কিন্তু এ অভিযানের তেমন প্রভাব পড়েনি।’
গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। এরপর বছরের পর বছর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চালানো নিপীড়ন আরও জোরালো করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেদিনের পর থেকে চালানো সামরিক অভিযানে প্রাণ হারিয়েছে ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত ৯০ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক।
গাজায় ইসরায়েলি অভিযান শুরুর পর থেকে একাধিকবার লেবানন সীমান্তে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। দুই দেশই সীমান্ত থেকে বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিয়েছে। লেবাননের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ হিজবুল্লাহর কাছে। ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে এখন পর্যন্ত শতাধিক যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। তবে এখন সীমান্তবর্তী এলাকা ছাপিয়ে এবার পরস্পরের সীমান্ত থেকে মূল ভূখণ্ডের বেশ ভেতরে হামলা চালানো শুরু করেছে দুই দেশ। এতে করে ক্রমেই বেড়ে চলছে নিহতের সংখ্যা।
চলতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে স্থলপথে সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। বৈরুতে এক হামলায় হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ২ হাজারের বেশি মানুষ জন নিহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, হিজবুল্লাহ ৮ অক্টোবর থেকে ব্যাপকভাবে ইসরায়েল অভিমুখে মিসাইল হামলা করে আসছে।