যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভেতরে আক্রমণ করতে ইউক্রেনকে অনুমতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া।
রুশ সংসদের উচ্চ কক্ষের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির উপ-প্রধান ভ্লাদিমির যাবারভ বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর দিকে বড় একটি পদক্ষেপ’। তিনি বলেন, এটা ‘ট্রাম্পের স্বাধীনতার মাত্রা সীমিত করার প্রচেষ্টা।’
রাশিয়ার গণমাধ্যমও একই ধরনের ভয়ানক ভবিষৎবাণী করছে।
‘যে পাগল লোকজন ন্যাটোকে সরাসরি আমাদের দেশের সাথে যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, খুব শিগগিরই তারা ভয়ানক কষ্ট পাবেন,’ বলেন তিনি।
গত জুন মাসে পুতিন হুঁশিয়ারি দেন যে ন্যাটো ইউক্রেনকে রুশ ভূখণ্ড আক্রমণ করার অনুমতি দিলে, মস্কো পাশ্চাত্য লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য অন্যান্যদের দূরপাল্লার অস্ত্র সরবরাহ করতে পারে।
তিনি আবারো বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়লে মস্কো পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে দ্বিধা করবে না।
এদিকে বাইডেনের নীতি পরিবর্তন ২০২২ সালে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে চলা এই যুদ্ধে আরো একটি নতুন, অনিশ্চিত উপাদান যোগ করলো। চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এক হাজার দিনের মাইলফলক স্পর্শ করার দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে।
আমেরিকার তৈরি এবং সরবরাহ করা এটিএসিএম ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেন কোনো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারবে, তার উপর বিধিনিষেধ ওয়াশিংটন কমিয়ে আনছে। এই তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা রোববার (১৭ নভেম্বর) দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানায়।
বাইডেন এতদিন এই পদক্ষেপ নাকচ করে দিয়ে এসেছেন এই আশঙ্কা থেকে যে, এর ফলে সংঘাত আরো বৃদ্ধি পাবে এবং রাশিয়া আর পশ্চিমা সামরিক জোট নেটো সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে যাবে।
‘এটা পরিষ্কার যে ওয়াশিংটনে বিদায়ী প্রশাসন কিছু পদক্ষেপ নিতে চায়, যার মাধ্যমে তারা আগুনে তেল ঢালতে থাকবে এবং এই সংঘাত ঘিরে উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে দেবেন,’ মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা