হারেৎস পত্রিকার ওপর নিষেধাজ্ঞা অনুমোদন করেছে ইসরাইল সরকার। সকল সরকারি তহবিলপুষ্ট সংস্থাকে পত্রিকাটির সাথে যোগাযোগ বন্ধ করা এবং বিজ্ঞাপন না দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইলি সরকার।
ইসরাইল সরকার রোববার জানায়, পত্রিকাটিতে ‘ইসরাইল রাষ্ট্রের বৈধতা এবং আত্মরক্ষার অধিকারকে ক্ষুণ্ন করা, এবং হারেৎসের প্রকাশক অ্যামোস স্ককেনের লন্ডন থেকে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন এবং সরকারের ওপর অবরোধ আরোপের আহ্বান-সংবলিত মন্তব্য প্রকাশ করার’ জন্য সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চলতি মাসের প্রথম দিকে ফিলিস্তিনি ‘মুক্তিযোদ্ধাদের’ নিয়ে মন্তব্য করায় ইসরাইল সরকার স্ককেনের সমালোচনা করেছিল।
রোববার ইসরাইলি মন্ত্রিসভায় পাস হওয়া নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাবটি একেবারে শেষ মুহূর্তে অন্তর্ভুক্ত হয়। এটি অনুমোদন করেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
এর জবাবে হারেৎস পত্রিকা রোববার এক বিবৃতিতে জানায়, ‘কোনো আইনগত পর্যালোচনা ছাড়াই আজ সরকারের সভায় হারেৎস বয়কট করার যে সুবিধাবাদী প্রস্তাবটি পাস হয়েছে তা হলো ইসরাইলি গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার নেতানিয়াহুর এগিয়ে যাওয়ার পথে আরেকটি পদক্ষেপ। নেতানিয়াহু [রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির] পুতিন, [তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ] এরদোগান ও [হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর] অরবানের মতো বন্ধুদের মতো সমালোচনা, স্বাধীন সংবাদপত্রকে থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন।’
পত্রিকাটি জানায়, ‘হারেৎস থামবে না, সরকার এবং এর নেতার অনুমোদিত বার্তা প্রকাশের মাধ্যমে সরকারি পাম্পলেটে রূপান্তরিতও হবে না।’
ইসরাইলি সরকার আরো জানায়, অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস প্রস্তাবটি ভোটে দেয়ার বিষয়টি জানত না, তারা এ ব্যাপারে আইনগত কোনো অভিমতও দেয়নি।
উল্লেখ্য, ১ নভেম্বর লন্ডনে এক সম্মেলনে স্ককেন বলেন, ‘নেতানিয়াহু সরকার ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর নির্দয় বর্ণবাদী শাসন আরোপ করতে পরোয়া করছে না।’
তিনি বলেন, ‘এর ফলে বসতি স্থাপন সমর্থনের জন্য উভয় পক্ষের ক্ষতি খারিজ করে দিচ্ছে এবং সেইসাথে ইসরাইল যাদের সন্ত্রাসী বলছে, সেই ফিলিস্তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে লড়াই করছে।’
স্ককেন পরে ব্যাখ্যা করে জানান, তিনি হামাসকে ‘মুক্তিযোদ্ধা’ বিবেচনা করেন না। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ’ ব্যবহার না করা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি তার সমর্থন রয়েছে।
সূত্র : মিডল ইস্ট আই