তবে আম্ফান ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সুজিত বসু পথে নেমে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করেছেন। এমনকি রাজ্য সচিবালয়ে গিয়ে বৈঠকও করেছেন। ফলে উপসর্গহীন মন্ত্রীর কাছাকাছি যারা এসেছিলেন তারা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে। কয়েকদিন আগেই রাজ্যের শাসক দলের বিধায়ক তমোনাশ ঘোষও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। এছাড়াও রাজ্যে চিকিৎসক, নার্স ও পুলিশ কর্মীদের মধ্যে সংক্রমনের হারও বেড়ে চলেছে বলে জানা গেছে। গত ২৪ ঘন্টায় পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুন হয়ে গেছে। অন্য রাজ্য থেকে অভিবাসী শ্রমিক এবং বিমানে মানুষ আসা বেড়ে যাওয়াতেই সংক্রমণ বাড়ছে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৪৪ জনকে করোনা আক্রান্ত বলে শনাক্ত করা হয়েছে। ফলে পশ্চিমবঙ্গে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫৩৬ জনে। কলকাতা (৮৭), হাওড়া (৫৫), উত্তর ২৪ পরগণা (৪৯). উত্তর দিনাজপুর (৪৬), বীরভূম (২৭), নদীয়া (১৫), এই ৬টি জেলা সহ মোট ১৭টি জেলায় করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে বলে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর সুত্রে বলা হয়েছে।