স্বদেশ ডেস্ক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ও সরাইল উপজেলার উপর দিয়ে আজ শনিবার সকালে বয়ে যাওয়া ঝড়ে মো. সোহেল মিয়া নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ সময় বিধ্বস্ত হয়েছে শতাধিক ঘরবাড়ি। এ ছাড়া শত শত গাছপালা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
জানা গেছে, ঝড়ের সময় বুড়িশ্বর থেকে নাসিরনগর যাওয়ার পথে ঝড়ের কবলে পড়ে মারা যান সোহেল মিয়া। তিনি বুড়িশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের মেম্বার হাবিবা বেগমের দেবর। এ ছাড়া ঝড়ের সময় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সকালে হওয়া ঝড় নাসিরনগর উপজেলা সদরের ৭নং ও ৯ নং ওয়ার্ড, বুড়িশ্বর ইউনিয়নের আশুরাইল, বেনিপাড়া, ইছাপুরা, শ্রীঘর গ্রামে আঘাত হানে। এ ছাড়া সরাইলের নোঁয়াগাঁও ইউনিয়নের বুড্ডা, কুচনিসহ বিভিন্ন গ্রামের উপর দিয়ে ঝড় বয়ে যায়।
সরাইলের বুড্ডা গ্রামের মো. দুলাল মিয়া জানান, শনিবার পৌনে ১০টার দিকে একটি ঘূর্ণির মতো কিছু আকাশে দেখা যায়। মুহূতেই এটি তাদের এলাকায় আঘাত হানে। এতে বুড্ডা গ্রামের অন্তত ১০-১৫ কাঁচা বাড়ি একেবারে বিধ্বস্ত হয়ে যায়।
কুচনি গ্রামের গেজন মিয়া জানান, আজ সকালে হওয়া ঝড়ে তাদের পাঁচ ভাইয়ের টিনের ঘর ঝড়ে ভেঙে পড়েছে। এ ছাড়া তাদের বাড়ির আশেপাশের অনেক কাঁচা ঘরও ভেঙে পড়েছে। এলাকার অনেক গাছপালা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ।
নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল হাসেম জানান, তার ইউনিয়নের ৭ ও ৯ নং ওয়ার্ডে ঝড়টি আঘাত হানে। ওই দুই ওয়ার্ডে প্রায় ৫০টির মতো ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়া গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে গেছে।
বুড়িশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের মেম্বার হাবিবা বেগম জানান, তার দেবর সোহেল মিয়া বাড়ি থেকে নাসিরনগর যাচ্ছিলেন। ঝড়ের সময় কোনোভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ব্রাহ্মণাবাড়িয়ার হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমা আশরাফী জানান, তিনি প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাতেই যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এ পর্যন্ত অন্তত ১০০টির মতো বাড়িঘর ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করতে কাজ চলছে। সোহেল মিয়া নামে ওই ব্যক্তি ঝড়ের সময় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মারা গেছেন বলে জানতে পেরেছেন বলে জানান তিনি।