হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, তারা দুই প্রভাবশালী মার্কিন পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্ট ও নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাবস্ক্রিপশন (গ্রাহক চুক্তি) বাতিল করে দেবে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ও বাসভবনে আর রাখা হবে না এই দুটি জনপ্রিয় পত্রিকা। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দফতর পত্রিকাটি দুটি না রাখলেও হোয়াইট হাউজে তাদের রিপোর্টাররা কাজ করতে পারবেন কিনা সে ব্যাপারে কিছু জানায়নি। আনাদোলু জানিয়েছে, মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি স্টিফানি গ্রিশাম একটি মার্কিন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এই দুটি পত্রিকার সাবস্ক্রিপশন নবায়ন করার কোন পরিকল্পনা নেই আমাদের। এর একদিন আগেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পত্রিকা দুটির সাবস্ক্রিপশন বাতিল করার কথা জানিয়েছিলেন। সোমবার রাতে ফক্স নিউজের সাথে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প নিউইয়র্ক টাইমসকে ‘ভুয়া সংবাদপত্র’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। ট্রাম্প বলেন, এই ভুয়া পত্রিকাটিকে আমরা আর হোয়াইট হাউজে দেখতে চাই না। প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, এটি এবং ওয়াশিংটন পোস্টকে আমরা হোয়াইট হাউজ থেকে দূর করতে চাই। দুটোই ভুয়া। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে ওয়াশিংটন পোস্টের বিরোধ শুরু থেকেই। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই তিনি অনেকবার ওয়াশিংটন পোস্টকে ‘ভুয়া সংবাদপত্র’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি এক টুইটার পোস্টে লিখেছিলেন, ‘এটি ভুয়া পত্রিকা, যারা জনগনের প্রকৃত শত্রু’। এই ঘটনার পর হোয়াইট হাউজ থেকে এই দুটি পত্রিকার রিপোর্টারকে বহিষ্কার করা হবে কিনা সেই প্রশ্নও উঠেছে। আরেক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, এই দুটি পত্রিকাই তাকে খারাপভাবে উপস্থাপন করছে। তিনি বলেন, নিউ ইয়র্ক টাইমস আমাকে ভয়াবহরূপে উপস্থাপন করছে, ওয়াশিংটন পোস্ট একই কাজ করে। প্রসঙ্গত নিউ ইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্ট যুক্তরাষ্ট্রের দুটি প্রাচীন ও অত্যন্ত পাঠকপ্রিয় পত্রিকা। নিউ ইয়র্ক টাইমস ১৮৫১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। আর ওয়াশিংটন পোস্ট প্রতিষ্ঠা হয় ১৮৭৭ সালে। বর্তমানে পত্রিকাটির মালিক অ্যামাজনের প্রধান ও বিশ্বের সেরা ধনী জেফ বোজেস।