মাদারীপুর পৌর শহরে নমুনা না দিয়েও করোনাভাইরাসের পজিটিভ রেজাল্ট এসেছে সিদ্দিক হাওলাদার (৩০) নামে এক যুবকের। গত মঙ্গলবার মোবাইল ফোনে একটি ক্ষুদ্র বার্তার (এসএমএস) মাধ্যমে তার করোনা পজিটিভের বিষয়টি জানানো হয়।
সিদ্দিক হাওলাদার পৌর শহরের পাকদী এলাকার ইচাহাক হাওলাদারের ছেলে। তিনি একটি পেট্রোল পাম্পে কাজ করেন।
সিদ্দিক হাওলাদার জানান, গত মঙ্গলবার তার মোবাইল ফোনে একটি এসএমএস আসে, যেখানে তার করোনাভাইরাস পজিটিভ বলে জানানো হয়। এসএমএসে নাম লেখা ছিল সিদ্দিকুর রহমান, বয়স ৫০ বছর।
এদিকে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে বিপাকে পড়ে তার পরিবার। সবাই তাদের ঘরের বাইরে বের না হতে চাপ সৃষ্টি করে। স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজনও খুঁজতে থাকে সিদ্দিককে। কিন্তু সিদ্দিক হাওলাদারের দাবি, তিনি কখনোই নমুনা জমা দেননি। তার করোনাভাইরাসের কোনো উপসর্গও নেই।
সিদ্দিকের বাবা ইচাহাক হাওলাদার বলেন, ‘আমার ছেলে সুস্থ। অকারণে আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে। স্থানীয় ব্যক্তিরা নানাভাবে চাপ দিচ্ছেন। আমি দাবি করছি, করোনা পরীক্ষার সময় আইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন যেন নেওয়া হয়। তাহলে অন্যের ফোন নম্বর দিয়ে কেউ অন্যকে বিড়ম্বনায় ফেলতে পারবেন না।’
মাদারীপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইকরাম হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি আমাদের নজরে এসেছে। আমি ওই ছেলের সঙ্গে কথা বলেছি। তাকে নমুনা দিতে বলায় সে নমুনাও দিয়ে যায়।’
তিনি বলেন, যে বিষয়টি ঘটেছে তা হলো ওই এলাকায় সিদ্দিক নামের একজন তথ্য গোপন রেখে ভুল নম্বর দিয়ে চলে গেছে। তার দেওয়া নম্বরটি একই এলাকার আরেক সিদ্দিকের।
ইকরাম হোসেন বলেন, ‘তবে এখনো প্রকৃত করোনা পজিটিভ রোগীকে খুঁজে পাইনি। বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই আতঙ্কের মধ্যে আছি। কারণ সিদ্দিক নামের ওই এলাকায় একজন পজিটিভ রোগী আছে। তাকে আমরা এখনো শনাক্ত করতে পারিনি।’
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা অখিল সরকার বলেন, ‘আমরা এখন থেকে এসব বিষয়ে আরও সতর্ক থাকব। যারা নমুনা দেবেন তাদের সবাইকে আইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন আনতে বলা হয়েছে।’