“জ্বর ও গা ব্যথা ছাড়া আপাতত কোনো সমস্যা নেই। উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর থেকেই নিজেকে আলাদা করে রেখেছিলাম। এখনও বাসায়ই থাকছি। গুরুতর কিছু নেই, ঠিক আছি। অনেক ইনজুরি হলো জীবনে, ডেঙ্গু হলো, এবার কোভিড। এসব ধাক্কা আমার সয়ে গেছে এখন। মনোবল চাঙ্গা আছে। সবাই দোয়া করবেন।”
মাশরাফির শ্বাশুড়ি, শ্যালিকা ও শ্যালিকার মেয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আগেই। ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা। ঢাকার হাসপাতালে আসার আগে তারা ছিলেন নড়াইলে। তাদের সংস্পর্শে আসেননি মাশরাফি। আক্রান্ত হয়েছেন অন্য কোনোভাবে।
করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর থেকে মানুষের সহায়তায় ঝাঁপিয়ে পড়েছেন মাশরাফি। নড়াইলের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে অনেক উদ্যোগ নেওয়ার পাশিাপাশি অসহায় মানুষদের সহায়তায় ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যাপকভাবে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেক সহায়তা করার পাশাপাশি প্রায় দেড় যুগের সঙ্গী ব্রেসলেট নিলামে তুলে সেখান থেকে পাওয়া ৪২ লাখ টাকা থেকে সহায়তা করে যাচ্ছিলেন। শুধু নড়াইলে নয়, মাশরাফির সহায়তা পেয়েছেন ঢাকাসহ দেশজুড়ে আরও অনেকে।
এলাকার মানুষের সহায়তার জন্য দুই দফায় নড়াইল গিয়েছিলেন মাশরাফি। তবে সেটিও বেশ আগে। নড়াইল থেকে ঢাকায় ফিরে আলাদা একটি বাসায় কোয়ারেন্টিনে ছিলেন দুই সপ্তাহ। পরে বাসায় ফিরে সাবধানেই ছিলেন। বাইরে খুব একটা যাননি। তারপরও রক্ষা পেলেন না আক্রান্ত হওয়া থেকে। তার স্ত্রী-সন্তানদের কোনো উপসর্গ এখনও পর্যন্ত নেই।