পেটের ভেতর ক্ষত বা ঘা হওয়ার নামই হলো আলসার। এটি মোটেও সাধারণ কোনো রোগ নয়। কিন্তু অনেকে সাধারণ ভেবে অবহেলা করে থাকেন। ফলে পরবর্তীকালে রোগটি মারাত্মক আকার ধারণ করে থাকে। শুরুতে যদি এ রোগের সঠিক চিকিৎসা নেওয়া যায়, তবে সম্পূর্ণভাবে আলসার দূর করা সম্ভব হয়। আলসারের প্রথম এবং শুরুর লক্ষণ হলো বুক জ্বালাপোড়া করা। মসলাদার খাবার বা তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার পর বুক ও পেটের সংযোগস্থলে জ্বালাপোড়া করে।
একই সঙ্গে টক টক ঢেঁকুর আসে। নাভির ডান বা বাঁ পাশে অল্প একটু জায়গায় চিন চিন করে ব্যথা অনুভূত হয়। অনেক সময় পেটের কোথাও ব্যথা অনুভূত না হয়ে বুকের মাঝখানে চাপ চাপ ব্যথা হয়। আবার অনেক সময় এ ব্যথা পিঠ পর্যন্ত ছড়িয়ে যেতে পারে। অ্যাসিড রিফ্যাক্সের কারণে সাধারণত এ ব্যথা হয়ে থাকে। কখনো কখনো এ ধরনের পেটব্যথায় রাতে ঘুম থেকে উঠে যেতে পারেন রোগী।
গ্যাসের কারণে পেট ভরা মনে হয়। খাবারের পর পর বা যে কোনো সময় অস্বস্তির সঙ্গে পেটফাঁপা অনুভূত হয়। কিছুক্ষণ পর পর বায়ুত্যাগের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
রোগীর খাওয়ার প্রতি আগ্রহ কমে যায়। খাবারে অরুচি দেখা দেয়। পরিমাণমতো খাবার না খাওয়ায় শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। অনেক সময় রক্তবমি হতে পারে। বমি ও রক্ত মিশে খয়েরি রঙের হতে পারে। যদি এমন হয়, বুঝতে হবে রোগ জটিল পর্যায়ে চলে গেছে। আলসার যখন মারাত্মক আকার ধারণ করে, তখন পেটের ভেতর রক্তরণের কারণে রোগীর ঘন, আঠালো এবং কালচে অস্বাভাবিক রঙের পায়খানা হতে পারে। এমন লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ধরে নিতে হবে রোগটি অস্বাভাবিক অবস্থায় চলে গেছে।