বিশ্বজুড়ে দীর্ঘসময় ধরে চলমান করোনা মহামারীর কারণে বাংলাদেশের চামড়া শিল্পখাতের বড় ধরনের সংকট- এখন মহাসংকটে পরিণত হয়েছে। সব মিলিয়ে এ বছরে বাংলাদেশের চামড়া শিল্পখাত কম করে হলেও ৩০ কোটি ডলারের ক্ষতির মধ্যে পড়েছে।
বিশ্বজুড়ে দীর্ঘসময় ধরে চলমান করোনা মহামারীর কারণে বাংলাদেশের চামড়া শিল্পখাতের বড় ধরনের সংকট- এখন মহাসংকটে পরিণত হয়েছে। সব মিলিয়ে এ বছরে বাংলাদেশের চামড়া শিল্পখাত কম করে হলেও ৩০ কোটি ডলারের ক্ষতির মধ্যে পড়েছে।
ব্যাপকহারে রফতানি কমে যাওয়ার সাথে সাথে নতুন আরেক সংকট যুক্ত হয়েছে এবারের কোরবাণীর ঈদের পশুর চামড়া সংগ্রহ নিয়ে। করোনার কারণে এ বছরের পশু কোরবানি কমে যাওয়ায় এবং চামড়া ক্রয়ে নানা জটিলতার কারণে চামড়া ব্যবসায়ীরা অন্যান্য বছরের তুলনায় প্রায় ৪০ লাখ পিস কম চামড়া কিনতে পেরেছেন।
কেনার আগে অনেক চামড়া পচেও গেছে বলে জানিয়েছে চামড়া শিল্প সংগঠনগুলো। দেশের চামড়ার ঘাটতি থাকার পরেও ২০ বছর পর সরকার এ বছরে কাচা চামড়া রপ্তানির অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও নানা জটিলতার কথা বলেছেন প্রভাবশালী গবেষণা সংস্থা সিডিপি’র গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
করোনার কারণে চামড়া, চামড়াজাত পণ্যসহ পুরো চামড়া খাতের রফতানি আয় লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় এই অর্থবছরে কমপক্ষে ২০ কোটি ডলার কম হয়েছে।
গত অর্থবছরে রফতানি ছিল ১১৯ কোটি ডলার। করোনা ছাড়াও চামড়া শিল্পখাতের কমপ্লায়েন্স সম্পন্ন না হওয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বড় বড় বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের প্রবেশাধিকারের জন্য ‘এলডব্লিউজি’ সনদ না থাকার কারণেও বিশাল অংকের বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বাংলাদেশ বঞ্চিত হচ্ছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিকারক সংস্থার প্রধান মহিউদ্দিন আহমদ মাহীন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাকালের ধাক্কা সামাল দিয়ে যদি চামড়া শিল্পখাত সংশ্লিষ্টরা সচেষ্ট হন তবে বাংলাদেশ চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি করে বছরের ৫ শ’ কোটি ডলার আয় করতে সক্ষম।
সূত্র : ভোয়া