বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায় বলেছেন, ‘আগে ইমান ঠিক করেন, যেদিন বলতে পারবেন- মরতে হয় মরব, গণতন্ত্র আনব- সেদিনই গণতন্ত্র মুক্তি পাবে, খালেদা জিয়া মুক্তি পাবে, দেশ মুক্তি পাবে, জাতীয়তাবাদী শক্তি গোলামির জিঞ্জির ছিঁড়ে নিজেদের মুক্ত করতে পারবে। আন্দোলন চাই, সময় মতো আমি নিজে নাই, টেলিফোন বন্ধ। রাজপথে রক্ত দিমু, কর্মীরে বলুম সাবধানে থাইকো- এইভাবে হয় না।
গতকাল বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে দলটির ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন। ’৯০-এর স্বৈরাচার এইচএম এরশাদ ও ১/১১-এর সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদ একই বৃন্তের দুটি ফুল উল্লেখ করে গয়েশ্বরচন্দ্র রায় বলেন, ‘এদের রাজনৈতিক জন্ম-ভাবনা একই দেশে, যেই দেশে আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঠিকানা। ঠিকানা দুই রকম থাকে না। আজকের প্রধানমন্ত্রী নিজের হোমের থেকে সেকেন্ড হোমের প্রতি বেশি দুর্বল। এই দুর্বলতাই আমাদের জাতীয় জীবনে বড় বিপর্যয়।’
গয়েশ্বরচন্দ্র বলেন, ‘১/১১-তে কী হলো? জেনারেল মইন ইউ আহমেদ এলো। কী কারণে এলো? অনেক ঘটনা করে মইন ইউ আহমদকে আনল। তিনি (শেখ হাসিনা) বিদেশ যাওয়ার সময়ে এয়ারপোর্টে বললেন, তাদের সকল অপকর্ম আমি বৈধতা দেব। সেই দিনই চুক্তি ফাইনাল।’