যুবলীগ কি চোর? যুবলীগের নেতারা কি চোর? এমন প্রশ্ন তুলেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ঘরে ঢুকে মাথায় কোপ দিয়েছে। এতে তার মাথার খুলি ভেঙে ভেতরে ঢুকে গেছে। তার পর গ্রেপ্তার হয়েছে যুবলীগের সোনার তিনটি ছেলে। খুব বুদ্ধিমান তারা। এত বুদ্ধি যে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে ‘আমরা চুরি করতে ঢুকেছিলাম’।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক প্রয়াত ড. এমাজউদ্দীন আহমদ স্মরণে জাতীয় স্মরণ মঞ্চ নামের সংগঠন আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মান্না বলেন, ‘করোনার মধ্যেও হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি চলে। টেলিভিশনে ব্রিফ করা বন্ধ, বিকাল ৫টা বাজে প্রেস রিলিজ দিতে দিতে। সবাই ভালো করে পড়ে না। আগে সবাই জানতেন আজ কতজনের মৃত্যু হয়েছে, এখন বলতে পারেন না।’ তিনি বলেন, যুবলীগের শিক্ষা হয়েছে যে, খুন করার পর ধরা পড়লে বলতে হবে ‘আমি চুরি করেছি’। ঘটনার পর বহিষ্কার করা হয়েছে। এ বহিষ্কার একেবারে লোক দেখানো।
ডাকসুর সাবেক এ ভিপি আরও বলেন, ‘ছাত্রলীগের জেলা কমিটির সভাপতি ২ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দেয়। ওর যে বয়স সে বয়সে এ টাকা গুনে শেষ করতে পারবে? এক ওসি সাহেবের এত যতœ! রিমান্ডে নেওয়ার সময় পরীক্ষা করা হয় মেডিক্যালি ফিট কিনা, রিমান্ড থেকে বেরিয়ে আসার পর আবার পরীক্ষা করা হয়। আমি ১৪ দিনের রিমান্ডে ছিলাম, আমাকে তো মেডিক্যাল টেস্ট করানো হলো না।’ তিনি বলেন, ‘এ সরকারের কাছে ওসি গুরুত্বপূর্ণ, মাহমুদুর রহমান মান্না, জাফরুল্লাহ এদের কোনো দামই নেই।’ নিজস্ব প্রতিবেদক