মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের নামে সরকার একের পর এক রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সরকার একের পর এক বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের হয় ফাঁসি না হয় গুম, না হয় জেলে বন্দী রাখছে। জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের ফাঁসির আদেশ বহাল করে দেশে আরেকটি বিচারিক হত্যাকাণ্ডের মঞ্চ তৈরী করতে চায় সরকার। রোববার সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনে বাংলাদেশী আমেরিকান প্রগ্রেসিভ ফোরাম আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন বক্তারা।
প্রগ্রেসিভ ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, শিক্ষাবিদ আবু সামীহাহ সিরাজুল ইসলাম, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা হেলাল উদ্দিন, আবুল হাশেম শাহাদাত, ইঞ্জিনিয়ার মিজানুর রহমান, মোতাসিম বিল্লাহ, যুক্তরাষ্ট্র জাগপার সভাপতি এএইচ এম রহমত উল্যাহ ভূইয়া, মাওলানা সাফায়েত হোসাইন, মাওলানা সিহাব উদ্দিন প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের নাম করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর বিশ্ববরেণ্য আলেম মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারী জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, মীর কাসেম আলী, আব্দুল কাদের মোল্লাকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামকে বিচারিক হত্যার ষড়যন্ত্র করছে সরকার।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা আরো বলেন, সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে আদর্শিক ও রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। আজহারুল ইসলামের মতো বর্ষিয়ান ইসলামি নেতাকে আন্তর্জাতিকভাবে বির্তকিত ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে হত্যা করার চেষ্টা করছে। কিন্তু সচেতন জনতা সরকারের সে ষড়যন্ত্রমূলক রায় কখনোই মেনে নেবে না। সরকারের এ নিষ্ঠুর আচরণে ইতিহাসের কাঠগড়ায় একদিন দাঁড়াতে হবে।
বক্তারা সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, মীর কাসেম আলী, আব্দুল কাদের মোল্লার মতো হাজারো নেতাকে হত্যা করে বাংলাদেশ থেকে ইসলামকে মুছে ফেলার আওয়ামী স্বপ্ন কোনো দিনই পূরণ হবে না।
বক্তারা আরো বলেন, ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের নিযার্তন আর হত্যার প্রতিবাদে অনেকবার হোয়াইট হাউজ, জাতিসঙ্ঘের সামনে আমরা সমাবেশ করেছি, গায়েবানা জানাযা পড়েছি। আমরা দেশে হত্যা, গুম আর খুনের রাজননীতি চাই না। এসময় বক্তারা ভোলায় নবীপ্রেমিক সাধারণ মুসল্লীদের হত্যা ও হাজার হাজার মানুষকে আহত করার তীব্র নিন্দা জানান এবং অপধারীদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।