দুই মুসলিম প্রধান দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের পর এবার ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ করতে যাচ্ছে মুসলিম প্রধান আফ্রিকান দেশ সুদান। গতকাল শুক্রবার হোয়াইট হাউসে ইসরায়েল-সুদানের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ নিয়ে ঐকমত্যের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়, ইসরায়েলের সঙ্গে সুদানের এ সম্পর্ক স্বাভাবিকীরণকে ভালোভাবে নিচ্ছে না ফিলিস্তিন। ফিলিস্তিনি নেতারা বলছেন, ‘এটা তাদের পেছনে নতুন ছুরিকাঘাত’।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গতকাল শুক্রবার ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং সুদানের প্রধানমন্ত্রী আব্দেল্লা হামদক ও দেশটির ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের প্রধান আব্দেল ফাত্তাহ-আল-বুরানের সঙ্গে ফোনালাপ করেন। এ সময় সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণে দেশ দুটির ঐকমত্যের ঘোষণা দেন ট্রাম্প।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সুদান-ইসরায়েলের এক সম্মিলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘নেতারা সুদান ও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে এবং নিজেদের মধ্যে বিবাদমান যুদ্ধাবস্থার ইতি টানতে একমত হয়েছেন।’
ট্রাম্প বলেছেন, ‘ইসরায়েল ও সুদানের নেতারা দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে কাজ করবেন। তারা দুই জাতির মধ্যে বিবদমান যুদ্ধাবস্থার অবসান ঘটাবেন।’ তিনি বলেন, ‘এটা (সুদান) হবে তৃতীয় দেশ, যাদের সঙ্গে এটা করছি। এমন আরও অনেক দেশের ঘোষণা আসছে।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়েছে। আগামী ৩ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা জোরালো করতেই ট্রাম্প এ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন।
সুদানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওমর গামারেলদিন দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক স্থাপনের চুক্তি করলেও আইনসভা গঠিত হলে সেখানে এটা পাস হতে হবে। সামরিক কর্মকর্তা এবং বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে ক্ষমতা-বণ্টনের ভিত্তিতে সুদান এখনো আইন পরিষদ গঠন করতে পারেনি। রাজনৈতিক ব্যাপক অস্থিতিশীলতার পর ২০১৯ সালে ওমর আল-বশিরের ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে একটি অন্তবর্তীকালীন সরকার দেশটি শাসন করে আসছে। নতুন আইন পরিষদ কবে গঠিত হবে সে নিশ্চয়তা নেই।