সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৪ পূর্বাহ্ন

হাসপাতালে ভর্তি ম্যারাডোনা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর, ২০২০
  • ২১৯ বার

বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ী ডিয়েগো ম্যারাডোনা। কয়েকদিন আগে ৬০তম জন্মদিন পালন করা এই কিংবদন্তিকে গতকাল সোমবার রাতে হঠাৎ করেই ভর্তি করাতে হয়েছে হাসপাতালে। এখানকারই স্থানীয় একটি ক্লাবের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

জানা গেছে, স্থানীয় ক্লাব জিমনাসিয়ার মাঠ থেকে গত শুক্রবার চলে যাওয়ার পর আর দেখা যায়নি ম্যারাডোনাকে। গতকাল তাকে লা প্লাতার ইপেন্সা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। বুয়েনস এইরেস থেকে এক ঘণ্টা দূরত্বের এই হাসপাতালে আপাতত তাকে নানা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে।

ম্যারাডোনার চিকিৎসক লিপোলদো লুক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই তার অবস্থা ভালো ছিল না এবং তাকে অন্তত তিন দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। মানসিকভাবেও ভালো নেই তিনি। আর এটা তার শরীরে প্রভাব ফেলেছে।

ম্যারাডোনার অবস্থা খুব একটা গুরুতর নয় বলেই আশ্বস্ত করেছেন লুক। তবে এই চিকিৎসকের ধারণা, যেভাবে চলছিল, হাসপাতালে না এনে উপায় ছিল না। খেয়ালি ম্যারাডোনাকে সুস্থ রাখার কাজটা কত কঠিন, সেটা টের পাওয়া যায় লুকের কণ্ঠে, ‘যতটা সুস্থ হলে আমি খুশি হতাম, তিনি অত সুস্থ নন। আমি জানি, তার এর চেয়ে ভালো থাকা উচিত। তার সাহায্য দরকার, এখনই সময় তাকে সাহায্য করার। ডিয়েগো এমন একজন, যিনি মাঝেমধ্যে অসাধারণ এবং বাকি সময় অতটা না। তার আরও ১০ হাজার গুণ ভালো থাকা উচিত। এখানে আনাটা তাকে সাহায্য করবে। ম্যারাডোনা হওয়া খুব কঠিন।’

ম্যারাডোনাকে কী কারণে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাতে রাজি হননি চিকিৎসক। তবে সবাইকে আশ্বস্ত করেছেন, অন্তত কোভিড-১৯–সংক্রান্ত কিছু হয়নি তার।

আর্জেন্টাইন সংবাদ মাধ্যম ওলে জানিয়েছে, ম্যারাডোনার মাঝে করোনার সংক্রমণ ঘটেনি। কিছুদিন আগে নেগেটিভ হয়েছেন। এর কারণ তার এক বডিগার্ডের মাঝে করোনার উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। সেই ভয়ে ম্যারাডোনা নিজেকে আইসোলেশনে রেখেছিলেন।

সর্বশেষ শুক্রবার নিজের জন্মদিন উপলক্ষে জনসম্মুখে এসেছিলেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। এরপর তার দল জিমনাসিয়ায় লা প্লাতার লিগ ম্যাচে উপস্থিত হয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। শুরুর আগেই অসুস্থতার কারণে মাঠ ত্যাগ করে গেছেন।

প্রসঙ্গত, ম্যারাডোনা দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনে অভ্যস্ত হওয়ায় তাকে বেশ কয়েকবারই হাসপাতালমুখী হতে হয়েছে। ২০১৯ সালেও পাকস্থলীতে রক্ত ক্ষরণের কারণে ভর্তি হতে হয়েছিল হাসপাতালে। এর আগে ২০১৮ সালে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার ম্যাচ দেখতে দেখতেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com