যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পথে অনেক দূর এগিয়ে গেছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। তবে রিপাবলিকান প্রার্থী বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পেরও অঙ্কের হিসাবে এখনো ম্যাজিক ফিগার ২৭০ ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই ঝুলে থাকা চারটি রাজ্যের ফলের দিকে মুখিয়ে রিপাবলিকানরা।
ব্যাটলগ্রাউন্ড মিশিগানের ১৬ ও উইসকনসিনের ১০টি ইলেক্টোরাল ভোট ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট পার্টি জো বাইডেনের ঝুলিতে পড়লে হোয়াইট হাউসে আসীন হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তার। বাইডেনের ইলেক্টোরাল ভোট ২৬৪-তে পৌঁছালে ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যবধান বড় হয়।
কারণ ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প আছেন আগের জায়গাতেই। ২১৪টিতে জয় পেয়ে পিছিয়ে তিনি। তবে তার সুযোগ এখনো ফুরিয়ে যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শেষ পর্যায়ে এসে ঘুরে দাঁড়ানো নতুন কিছু নয়। ট্রাম্পের বেলায় যদি সে রকম কিছু ঘটে তবে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।
এখনো ফল প্রকাশ বাকি রয়েছে পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া, উত্তর ক্যারোলিনা ও নেভাদার। এই অঙ্গরাজ্যগুলোতে ইলেক্টোরাল ভোট রয়েছে যথাক্রমে ২০, ১৬, ১৫ ও ৬টি। ট্রাম্পকে আবারও হোয়াইট হাউসে আসীন হতে হলে অবশ্যই তাকে সবগুলোতে জয় পেতে হবে।
এদিকে, ম্যাজিক ফিগার ২৭০ ছুঁতে বাইডেনের দরকার আর মাত্র ৬টি ইলেক্টোরাল ভোট। এর মধ্যে নেভাডায় এগিয়ে তিনি। যেখানে আছে সেই মূল্যবান ৬টি ভোট। এছাড়া জর্জিয়ায় ট্রাম্পের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে তার। সেখানেও জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বাইডেনের। ফলে একরকম জয় সুনিশ্চিত বাইডেনের। তবে আমেরিকার নির্বাচনে যেকোন সময় যেকেউ চমক দেখাতে পারেন বলে এখনো নিশ্চিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাউকে ধরে নেওয়া যাচ্ছে না।
এছাড়ে শুধু ইলেক্টোরাল ভোটেই নয়, জনগণের ভোটেও এগিয়ে আছেন জো বাইডেন। যেখানে তিনি তার দলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকেও ছাড়িয়ে গেছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমেরিকার সবচেয়ে কম বয়সী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা পেয়েছিলেন ৬ কোটি ৯৪ লাখ ৯৮ হাজার ৫১৬ ভোট। আর এ নির্বাচনে এখন পর্যন্ত বাইডেন ভোট পেয়েছেন ৭ কোটির বেশি।