বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কার্যকর চিকিৎসাও জনসাধারণের অবিশ্বাসের কারণে ব্যর্থ হওয়ার ঝুঁকিতে পড়তে পারে। সংস্থার টিকাদান বিভাগের পরিচালক কেইট ও’ব্রায়ান বলেছেন, একটি টিকা ফ্রিজার, রেফ্রিজারেটর অথবা তাকে রাখা হলে কিংবা ব্যবহার করা না হলে এই মহামারী কমিয়ে আনতে কোনো সহায়তা করবে না। ব্যাংকক পোস্ট।
গত সোমবার মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ফাইজার এবং জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেকের যৌথ উদ্যোগে তৈরি টিকা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ৯০ শতাংশ কার্যকর বলে ঘোষণা দেয়।
ফাইজার এবং বায়োএনটেকের এই টিকা ৪০ হাজারের বেশি মানুষের দেহে শেষ ধাপের পরীক্ষায় রয়েছে। অন্তর্বর্তী পরীক্ষার ফলে টিকাটির ৯০ শতাংশ কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়ার তথ্য জানায় প্রতিষ্ঠান দুটি। শিগগিরই এ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল পাওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছে তারা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই কর্মকর্তা ফাইজার এবং বায়োএনটেকের টিকার অন্তর্বর্তী ফলকে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ বলে প্রশংসা করেছেন। একই সঙ্গে অন্যান্য আরও বেশ কয়েকটি টিকার শেষ ধাপের পরীক্ষার প্রাথমিক ফল শিগগিরই পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
ও’ব্রায়ান বলেন, পূর্ণাঙ্গ তথ্য-উপাত্তে যদি দেখা যায়, এসবের একটি অথবা একাধিক টিকার খুব, খুব বেশি কার্যকারিতা আছে; তা হলে মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টুলবক্সে অন্য একটি সরঞ্জাম রাখার জন্য এটি হবে সত্যিকারের সুসংবাদ। তিনি বলেন, মানুষ যদি টিকা গ্রহণে আগ্রহী না হয়, তা হলে টিকার ব্যবহার করে আমরা বিশ্বে করোনা মহামারী নিয়ন্ত্রণে সফল হতে যাচ্ছি না।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের উৎপত্তি হওয়ার পর বিশ্বের দুই শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় ৫ কোটি ৩৭ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত এবং ১৩ লাখের বেশি মারা গেছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, করোনা ভাইরাসের বেশ কয়েকটি টিকা তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় পৌঁছেছে। এসবের কোনো একটি টিকা কার্যকর প্রমাণিত হলে তা এই মহামারীর লাগাম টানতে সহায়তা করতে পারে।