পবিত্র ওমরা পালনের বিষয়ে বাংলাদেশী যাত্রীদের জন্য এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। তবে বাংলাদেশ সরকার ও এজেন্সিগুলো ওমরা কার্যক্রমের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখছেন। যেন সৌদি আরব থেকে ওমরা চালুর ঘোষণা আসার পর দ্রুত কাজ শুরু করা সম্ভব হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বৈধ ওমরা এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
সোমবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আমিনুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বেশকিছু শর্তসাপেক্ষে ১৬৭টি বৈধ ওমরা এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৪৪২ হিজরি (২০২০-২০২১ খ্রি.) সনে পবিত্র ওমরা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত ১৬৭টি ওমরা এজেন্সিকে শর্তসাপেক্ষে উমরাযাত্রী প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুমতি প্রদান করা হলো।
এর আগে ৪ নভেম্বর ধর্ম মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে বৈধ ওমরা এজেন্সিগুলোর তালিকা তৈরি ও নবায়ন কার্যক্রম শুরুর জন্য আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে ওমরা এজেন্সির লাইসেন্স নবায়নের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে অথবা আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ হবে সে সব ওমরা এজেন্সি নবায়নের জন্য নবায়ন ফি, ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেয়ার নিদের্শ দিয়েছিল।
করোনার কারণে চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরব ওমরার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। পরে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়ায় সৌদি হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয় ৪ অক্টোবর প্রথম ধাপে সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ওমরা কার্যক্রম শুরু করেন। ১৮ অক্টোবর দ্বিতীয় ধাপে দৈনিক ১৫ হাজার ওমরা যাত্রীকে ওমরা পালনের অনুমতি দেয়া হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ১ নভেম্বর থেকে তিউনিসিয়া, মিসর ও পাকিস্তানসহ মধ্যপ্রাচ্যের ১৩টি দেশের ওমরাযাত্রীদের ওমরা পালনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। ওই দিন থেকে দৈনিক ২০ হাজার মুসল্লি ওমরা পালন করছেন।