যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে পরাজয়ের পর সবার কাছ থেকে আলাদা থাকছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে ভার্জিনিয়ায় তার গল্ফ ক্লাব ছাড়া অন্য কোথাও তেমন দেখা মেলেনি তার। কোনো ধরনের ‘পাবলিক ইভেন্টেও’ চোখে পড়েনি তাকে।
মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, নির্বাচনে ইলেকটোরাল কলেজের ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার পর সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেননি ট্রাম্প। এমনকি প্রেসিডেন্টের বাসভবন ওভাল অফিসেও কোনো ক্যামেরার অনুমতি দেননি। বলা যায়, হোয়াইট হাউস এবং ওভাল অফিসেই দিন কাটছে তার।
হোয়াইট হাউসের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সিএনএনকে জানিয়েছেন, মারে এ লাগোতে ভ্রমণের কথা ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের। কিন্তু নির্বাচনে হারের পর তা বাতিল করেন। এ ছাড়া স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পসহ সপরিবারে দক্ষিণ ফ্লোরিডার রিসোর্টে ছুটি কাটানোর কথা ছিল। কিন্তু তাও বাতিল করা হয়। তারা ফ্লোরিডার পরিবর্তে ওয়াশিংটনেই সময় কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন।
এ সিদ্ধান্তগুলো বাতিল করার পর হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, এটা একরকম ট্রাম্পের ‘বানকারড মেন্টালিটি’। সিএনএন জানিয়েছে, জনসমাগম এড়িয়ে হোয়াইট হাউসে আবদ্ধ রয়েছেন ট্রাম্প।
নির্বাচনের দিন হোয়াইট হাউসের অস্থায়ী নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মীরা বিক্ষোভ করে সরিয়ে দিয়েছিলেন। তখনো ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের ভেতরে বসে ছিলেন। সেখান থেকে জো বাইডেনের কাছে নিজের হেরে যাওয়াকে বরাবরই অস্বীকার করছিলেন নানা অভিযোগ করছিলেন।
এদিকে আফগানিস্তান ও ইরাক থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের কথা অনেকদিন থেকেই জানিয়ে আসছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার তার পক্ষ থেকে পেন্টাগনের নতুন প্রধান ওই দুটি দেশ থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
সিএনএন জানিয়েছে, ওভাল অফিসে মিটিংয়েও দেরি করে এসেছেন ট্রাম্প। তার পক্ষে আইনি লড়াই ও টেলিভিশনে আরও আইনজীবী যুক্তিতর্কে কেন লড়েননি তাতেও বিষ্ময় প্রকাশ করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। গত বৃহস্পতিবার একটি বিশেষ উত্তপ্ত অধিবেশন চলাকালীন ট্রাম্পের ডেপুটি ক্যাম্পেইন ম্যানেজার ট্রাম্পের ব্যক্তিগত অ্যাটর্নি রুডি গিউলিয়ানির ওপর চরম ক্ষিপ্ত হন।
সিএনএন জানিয়েছে, গত ৩ নভেম্বরের পর মোট তিনবার তিনি জনসমক্ষে হাজির হন। প্রথমটি ছিলে ব্রিফিং রুমে, দ্বিতীয়টি আর্লিংটন জাতীয় কবরস্থানে এবং তৃতীয়টি করোনভাইরাস ভ্যাকসিন সম্পর্কে রোজ গার্ডেনে। তবে এ সময়গুলোতে কোনো ধরনের প্রশ্ন ছাড়াই কার্যক্রম সমাপ্ত করা হয়েছিল। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেস ব্রিফিংগুলোও এড়িয়ে চলেছেন।