করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ আসার খবরে যুক্তরাষ্ট্রে টয়লেট পেপারের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে টয়লেট পেপার এবং পরিষ্কার সামগ্রী কেনার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েছে মার্কিনীরা। বৃহস্পতিবার ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর সেখানে কারফিউ জারি করেছেন। এরপরই সেখানে টয়লেট পেপার কেনার হিড়িক শুরু হয়। ফ্রেসনো, কস্টকো, ওয়ালমার্ট ও বিজেএস স্টোরে টয়লেট পেপার প্রায় শেষ হয়ে গেছে।
করোনা সংক্রমণ আবারও বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রে। একই সঙ্গে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। এ কারণে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে নতুন করে কারফিউ এবং লকডাউন জারি করতে বাধ্য হচ্ছে কর্তৃপক্ষ। আতঙ্কে মানুষ টয়লেট পেপার ও নিরাপত্তা সামগ্রীর স্তূপ করছে। কিনছে লাইন দিয়ে।
ওয়ালমার্ট জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেলে দেশটির ২২টি অঙ্গরাজ্যে নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। সংক্রমণের গতি রোধ করতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এ কারণে বিভিন্ন শপ ও দোকান থেকে লোকজন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে জমা করতে শুরু করেছেন। সবকিছু বন্ধ থাকবে এমন আতঙ্ক থেকেই তারা এমনটা করছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বেশকিছু শহরের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ওয়ালমার্ট এবং কস্টকো কস্ট ও বিভিন্ন ধরনের জীবাণুনাশকের ওপর মূল্য ছাড় দিয়েছে।
অ্যারিজোনার টুকসনের ৩১ বছর বয়সী হুইটলি হ্যাচার নামের এক কর্মকর্তা বলেন, ওয়ালমার্টে লাইজল জীবাণুনাশক এবং টয়লেট পেপার আবারও শেষ হয়ে গেছে। বড় বড় স্টোরগুলোতে লোকজন জিনিসপত্রের খালি শেলফ দেখে আতঙ্কে পড়ে যাচ্ছেন এবং সে কারণেই তারা জিনিসপত্র কিনতে শুরু করে দিয়েছেন।