৯ বছর বয়সী যমজ দুই বোন। একজনের নাম ‘ম্যারা’। অন্যজন ‘ডোনা’। এই দুয়ে মিলে বিশ্বসেরা ফুটবলার ম্যারাডোনা। ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল ফাইনালের কথা নিশ্চয় মনে আছে আপনাদের। যাদের মনে নেই, অথবা যারা তারও পরে জন্মেছেন, তাদের জন্য বলছি- ওই বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলেছিল আর্জেন্টিনা ও জার্মানি। সেই লেখায় ১-০ গোলে হেরে যায় আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনা দলে ছিলেন বিশ্ব কাঁপানো ফুটবলার দিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা।
খেলার ফল মেনে নিতেই হয়। তিনিও মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু হয়তো তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার চোখ থেকে ঝরছিল অবিরাম অশ্রæধারা। তার মনোবেদনায় তখন কত শত মানুষ কেঁদেছেন তার কোনো ইয়ত্তা নেই। সেই দৃশ্য দেখেছিলেন আর্জেন্টাইন ওয়াল্টার রোতুনদো। তার স্ত্রী স্টেলা মারিস প্রেজের সঙ্গে প্রথম তার সাক্ষাত হয়, তাকে জানিয়ে দেন- তাদের যমজ কন্যা সন্তান হলে তাদের নাম রাখবেন কাব্যিক করে। এর মধ্য দিয়ে তিনি তার জীবদ্দশায় ম্যারাডোনাকে বাঁচিয়ে রাখবেন। সত্যি সত্যি তিনি স্টেলা মারিজ প্রেজকে বিয়ে করলেন। যমজ কন্যা হলো তাদের। কথামতো এক কন্যার নাম রাখলেন ‘ম্যারা’। অন্যনের নাম ‘ডোনা’। দুয়ে মিলে হয়ে গেল ম্যারাডোনা। ডোনার থেকে মাত্র ৯ মিনিট আগে জন্মেছে ম্যারা। এমনি করে আকারে ক্ষুদ্র, কিন্তু মর্যাদায় আকাশছোঁয়া ম্যারাডোনাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন ওয়াল্টার। ‘ম্যারা’ বলেছে, আমার এই নাম নিয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এই নামটি আমার খুব পছন্দ। কেন বাবা আমাকে এই নাম রেখেছেন আমি জানি। আমার আনন্দের সীমা থাকে না। ‘ডোনা’ বলেছে- ম্যারাডোনা মারা গেছেন। এই চলে যাওয়া অত্যন্ত বেদনার। অনেক কষ্টের। তিনি কেন মারা গেলেন, কেন মরলেন আমি ভাবতে পারছি না। তিনি তো খুব ভাল মানুষ ছিলেন। তার মারা যাওয়া উচিত হয় নি।