বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ইসকন ইস্যুতে দেশি-বিদেশি ইন্ধন থাকতে পারে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা, যে নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে : তারেক রহমান আইনজীবীকে ‘কুপিয়ে হত্যা করল’ ইসকন সদস্যরা অনির্দিষ্টকালের জন্য সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল বন্ধ ঘোষণা অহিংস গণঅভ্যুত্থানের আহ্বায়কসহ ১৮ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রাষ্ট্রদ্রোহের ঘটনায় যুক্ত থাকলে ছাড় দেয়া হবে না : আসিফ মাহমুদ চিন্ময়কে গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে ভারতের বিবৃতি মানুষ কেন তাদের ওপর বিক্ষুব্ধ, গণমাধ্যমের তা স্পষ্ট করা উচিত : নাহিদ ইসলাম

কোন দিকে মোড় নিচ্ছে ম্যারাডোনার মৃত্যুর তদন্ত

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২০
  • ১৭৬ বার

পুরোটা জীবন ছিলেন আলোচনায়। মৃত্যুর পরও আলোচনা থামছে না ম্যারাডোনাকে নিয়ে। তার চিকিৎসায় কী গাফিলতি ছিল সে প্রশ্ন এখন বড় হচ্ছে। ডয়চে ভেলের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ম্যারাডোনার মৃত্যুর জন্য কি তাঁর চিকিৎসক দায়ী? অনিচ্ছাকৃত খুনের তদন্ত শুরু করেছে আর্জেন্টিনার পুলিশ। রোববার চিকিৎসকের বাড়িতে তল্লাশিও চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। যদিও চিকিৎসকের বক্তব্য, তাঁর ‘বন্ধু’র জন্য যা করণীয় ছিল, তার চেয়ে বেশিই করেছেন তিনি। আদালতে জবানবন্দী দিতেও প্রস্তুত তিনি।

ম্যারাডোনারপারিবারিক চিকিৎসক লিওপোল্ডো লুকিউ। ৩৯ বছরের এই ডাক্তারই গত বেশ কিছু বছর ধরে ম্যারাডোনার চিকিৎসা করছিলেন।

কিছু দিন আগে তাঁর মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছিল। লিওপোল্ডোই তার চিকিৎসা করেছিলেন। ফুটবল স্টারকে ভর্তি করেছিলেন হাসপাতালে। সেখানে তাঁর মস্তিষ্কে অস্ত্রপচার হয়। আট দিন হাসপাতালে থাকার পর ম্যারাডোনাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। লিওপোল্ডো ম্যারাডোনার সঙ্গে একটি সেলফি তুলে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন ওই দিন।

ম্যারাডোনার পরিবারের একাংশের অভিযোগ, মস্তিষ্কে অস্ত্রপচারের পর তাঁকে যতটা পরিষেবা দেওয়া উচিত ছিল, লিওপোল্ডো ততটা দেননি। সে কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়। পুলিশও তদন্ত শুরু করেছে। তল্লাশি চালানো হয়েছে তাঁর বাড়িতে এবং ক্লিনিকে।
রোবার রাতে একটি টেলিভিশন শোয়ে অংশ নিয়েছিলেন লিওপোল্ডো। সেখানে তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেছেন, তদন্তে সবরকম সাহায্য তিনি করবেন। প্রয়োজনে আদালতে জবানবন্দি দেবেন। ম্যারাডোনার জন্য যা করা যেত, তার চেয়ে বেশিই করেছেন বলে এ দিন দাবি করেছেন তিনি।
বস্তুত, এর আগে বেশ কিছু কঠিন রোগের শিকার হয়েছিলেন ম্যারাডোনা। জীবন-মৃত্যুর যুদ্ধ চলেছে একাধিকবার। লিপোল্ডোর চিকিৎসায় বার বারই তিনি জীবনে ফিরে এসেছেন। তবে ফুটবল স্টারের পরিবারের অভিযোগ, এ বার বাড়িতে আসার পর ম্যারাডোনার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল চিকিৎসকের। দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটিও হয়েছে। প্রতিবেশীরা তা দেখেছেন। শুধু তাই নয়, ম্যারাডোনার হার্ট অ্যাটাকের পরেও তিনি সেখানে যাননি বলে অভিযোগ। ফোন করে অ্যাম্বুল্যান্স ডেকেছিলেন কেবল। ওই ফোন কলের রেকর্ড পুলিশের হাতে রয়েছে।
তা হলে কি চাইলে বাঁচিয়ে দেওয়া যেত ৬০ বছরের ম্যারাডোনাকে? গোটা বিশ্বের সংবাদমাধ্যমে এখন এটাই অন্যতম আলোচনার বিষয়।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com