কিছুদিন আগেই সংবাদ সম্মেলন করে পাকিস্তানের ক্রিকেটার বাবর আজমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন এক নারী। অভিযোগ করেছিলেন বাবর আজমের সঙ্গে তার দশ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল, বিয়ে করার কথা বলে বাবর তাকে ধর্ষণ করেছেন। এমনকি তাকে গর্ভপাতেও বাধ্য করেছেন বাবর। অভিযোগটি অনেক গুরুতর। প্রমাণিত হলে বাবর আজমকে কঠিন শাস্তিই হয়তো পেতে হবে। তবে প্রমাণ হওয়া না-হওয়া আদালতের ব্যাপার, আপাতত অভিযোগকারীকে কোনোভাবে হয়রানি না করতে বাবর আজম ও তার পরিবারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
তিন সংস্করণের ক্রিকেটে পাকিস্তানের অধিনায়ক এ মুহূর্তে দলের সঙ্গে নিউজিল্যান্ড সফরে আছেন। অভিযোগে ওই নারী বলেন, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক গড়েছেন বাবর। এর পর তার গর্ভে বাচ্চা এলে সেটিও গর্ভপাত করাতে বাধ্য করেন। প্রমাণ হিসেবে সে সবের চিকিৎসা-সংক্রান্ত কাগজপত্রও দিয়েছেন অভিযোগকারী নারী। এর আগে পাকিস্তানের নাসেরাবাদ পুলিশ স্টেশনে বাবরের বিরুদ্ধে এফআইআর করাতে গেলে তখনো বাবর তাকে আবার বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এফআইআর ফিরিয়ে নিতে অনুরোধ করেন বলে জানান অভিযোগকারী নারী।
কিন্তু ক্রিকেটে অর্থ-খ্যাতি আসার পর বাবর তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। এর পর ওই নারী আবার থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছিলেন, কিন্তু তখন থানায় তার বিবৃতি নেওয়া হয়নি বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন। বাবর ক্রিকেটে পরিচিতি পাওয়ার আগে দুজনের ১০ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই নারী নিজেকে পাকিস্তান অধিনায়কের স্কুলের সহপাঠী হিসেবে দাবি করেছেন।
তার দাবি, বাবরের কঠিন সময় তিনি তার পাশে ছিলেন। বাবরকে আর্থিকভাবেও সাহায্য করেছেন বলে দাবি করেছেন। বাবর আর তিনি ছোটবেলা থেকেই শহরের গুলবার্গের একটি আবাসিক এলাকায় বাস করতেন বলে জানালেন। ভালোবাসার সম্পর্কের একপর্যায়ে ২০১০ সালে বাবর তাকে বলেছিলেন যে, ২০১১ সালে তারা কোর্টে রেজিস্ট্রেশন করে বিয়ে করবেন। ২০১২ যুব বিশ্বকাপে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে নেতৃত্ব দিয়ে তারকা হয়ে ওঠেন। ধীরে ধীরে ভুলে যান তার পুরনো ভালোবাসার কথা।