করোনা টিকার একেবারে কাছাকাছি পৌঁছে গেছি আমরা। এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার থেকে বৃটেনে টিকা প্রদান শুরু হয়েছে। বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধী টিকাগুলোর যেমন কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে, তেমনি এই করোনা টিকার ক্ষেত্রেও হালকা বা মাঝারি আকারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়তো দেখা যাবে। তবে অনেক বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন যে, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা সম্ভাব্য সমস্যাগুলোর তুলনায় এ টিকা মানুষকে অনেক বেশি পরিমাণে সুবিধা দিবে । হাফপোস্টে এ নিয়ে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মহামারী বিশেষজ্ঞ যোভান মালদোনাডো বলেন, জনসাধারণের জন্য এটি সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যেখানে জনগণকে সুস্থ রাখা, তারা যাতে আবার কাজে ফিরতে পারে, পুনরায় স্কুলগুলোতে যেতে পারে এবং আমরা যেভাবে চাই সেভাবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারি।
তাই লোকেরা যখন এই কোভিড-১৯ এর টিকা গ্রহণ করবে তারপর তাদের অনুভূতিগুলো ঠিক কেমন হতে পারে। সে বিষয়ে স্বল্প মেয়াদী কয়েকটা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কথা বলেছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।
ফাইজার এবং মডার্নার প্রস্তুত করা টিকা নেওয়া স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে ৫ থেকে ১৫ শতাংশ ব্যক্তির শরীরে এই ধরণের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। যেমন:
* টিকা নেওয়ার স্থানে ব্যাথা: এই টিকা নেওয়ার পর দেখা গেছে যে ওই স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের শরীরে যে স্থানে টিকা নিয়েছে সেখানে বা তার আশেপাশে সামান্য ব্যাথা অনুভূত হয়। যা টিকা নেওয়ার খুব জোর ১২ থেকে ৩৬ ঘন্টার মধ্যে ঠিক হয়ে যায়।
* মাথা ব্যাথা হতে পারে: করোনার টিকা গ্রহণের পর ক্ষত স্থানের ব্যাথা অনুভূত হওয়ার পাশাপাশি সামান্য পরিমাণে মাথা ব্যাথাও হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে ভয়ের কিছু নেই । এই ব্যাথা কিছুক্ষণের মধ্যে কমে আসে।
* সামান্য জ্বর জ্বর আসতে পারে: ফাইজার এবং মর্ডনার টিকা নেওয়ার পর সামান্য জ্বর জ্বর অনুভূতি হতে পারে। জ্বর এক্ষেত্রে খুব বেশি পরিমাণে আসে না এবং বেশি সময়ও স্থায়ী হয়না। টিকা নেওয়ার ১২ থেকে ৩৬ ঘন্টা পর এই জ্বর আর থাকে না।
তবে প্রথম ধাপের তুলানায় দ্বিতীয় ধাপের টিকা নেওয়ার সময় এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো একটু বেশি শক্তিশালী হয়। এসময় ব্যাথার মাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে এতে ভয়ের কিছু নেই বলে জানান যোভান মালদোনাডো।