করোনা ভাইরাসের কারণে এবার সেভাবে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা হয়নি বাংলাদেশের। শুধু বাংলাদেশ বললে ভুল হবে, ক্রিকেট খেলুড়ে সব দলেরই একই অবস্থা। যদিও ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছে। তবে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে আগামী বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত। উইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে করোনাপরবর্তী আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবে বাংলাদেশ। সবশেষ মার্চে দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেলেছিল তারা।
করোনার কারণে মাঝখানে বেশ কয়েক মাস ক্রিকেট বন্ধ ছিল। অক্টোবরে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ দিয়ে দেশে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট শুরু হয়। ৫০ ওভারের ওই টুর্নামেন্টের পর গত মাসে পাঁচ দল নিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের আয়োজন করেছিল বিসিবি। গতকাল খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যকার ফাইনাল দিয়ে পর্দা নেমেছে এই টুর্নামেন্টের। প্রথমবার আয়োজিত এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মাহমুদউল্লাহর জেমকন খুলনা।
স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে টি-টোয়েন্টি কাপ আয়োজন করা হয়েছিল। তাই তাদের সামর্থ্য পরখ করে দেখা গেছে। বিসিবি সভাপতি দারুণ খুশি এমন একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পেরে। গতকাল সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, প্রতিবছর এমন টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চান তারা।
তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে বিপিএলের চেয়ে এই টুর্নামেন্টটা অনেক বেশি আকর্ষণীয় মনে হয়েছে। এটার পেছনে সব চেয়ে বড় কারণ হচ্ছে- এতগুলো লোকাল প্লেয়ারের সুযোগ পাওয়া এবং এতগুলো ছেলেকে দেখার সুযোগ কিন্তু অন্যান্য বছর আমাদের হয়নি। বোর্ডে আমরা এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি যে, প্রতিবছরই আমরা এটা রাখতে চাই। এফটিপি, আমাদের আইসিসি ইভেন্ট- সব কিছু মিলিয়ে সুযোগ যদি থাকে, তা হলে এটাকে প্রেফারেন্স দেব। প্রতিবছরই হোক- এটাই আমাদের ইচ্ছা।’
টুর্নামেন্টে কয়েক খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেন, ‘মোস্তাফিজের বল আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। রুবেলও ভালো করেছে। ব্যাটিংয়ে দেখলে লিটন দাস, সৌম্য ভালো খেলেছে। রিয়াদ আজকেও অসাধারণ ইনিংস খেলেছে। শান্ত, আমার কাছে মনে হচ্ছে ওর কনফিডেন্স লেভেলটা দিন দিন বাড়ছে এবং ভবিষ্যতের জন্য একটা খুব ভালো প্লেয়ার সংযোজন হয়েছে। এ ছাড়া আফিফ, শরিফুল, তাসকিন, ইমন, ইয়াসির, রাব্বির খেলা ভালো লেগেছে।’ বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের পর টি-টোয়েন্টি কাপেও দর্শক প্রবেশের সুযোগ রাখা হয়নি। মূলত করোনা ভাইরাসের কারণেই এই সতর্কতা।
নাজমুল হাসান পাপন বললেন, ‘আমরা যদি মনে করি, আমাদের মনে ওই বিশ্বাস আছে, দর্শকরা যে নিয়ম-কানুন মেনে চলার কথা, সেগুলো মেনে চলবেন- এই আশ্বস্ত যদি আমরা হতে পারি, তা হলে নিশ্চয় এটা হতেই পারে আমরা দর্শকদের এলাউ করব কিছু সংখ্যক। এমনও তো হতে পারে, তারা মানছেন না, ওই রকম পরিস্থিতি আমাদের ক্রিকেটে হোক, সেটি আমরা চাই না।’