বার্সেলোনার সঙ্গে লিওনেল মেসির সম্পর্ক দুই দশকের। আগামী জুনে বার্সার সঙ্গে শেষ হচ্ছে মেসির চুক্তি। আর্জেন্টাইন সুপারস্টার বার্সেলোনাতেই থাকছেন নাকি প্রথমবারের মতো অন্য ক্লাবের জার্সি গায়ে জড়াবেন সেটার উত্তর মিলবে চলমান মৌসুম শেষে। স্প্যানিশ টিভি চ্যানেল লা সেক্সটাকে মেসি দিয়েছেন দীর্ঘ সাক্ষাতকার। কথা বলেছেন নানা বিষয় নিয়ে।
গত আগস্টে বার্সা ছাড়তে চাইলেও তখনকার সভাপতি হোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ ছিলেন অনড়। ট্রান্সফার ফির মারপ্যাঁচে পড়ে ঠিকানা বদল সম্ভব হয়নি মেসির। সেসময় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর আসে, মেসিকে পাঁচ বছরের একটি চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার সিটি। সে প্রস্তাবের মূল বিষয় ছিল, প্রথম তিন বছর মেসি খেলবেন ম্যানসিটির হয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে।
শেষ দুই বছর সিটিজেনদের মালিকানাধীন নিউইয়র্ক সিটি এফসিতে। সিটি ফুটবল গ্রুপের অধীন ক্লাবটি খেলে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর সকার লীগে। ১লা জানুয়ারি থেকে নতুন ক্লাবের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন মেসি। তবে ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার এখনই এসব নিয়ে ভাবতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘মৌসুম শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত এসব (ক্লাব বদল) নিয়ে ভাবতে চাই না। আমি বার্সেলোনাকে ভালবাসি। আমার জীবনের বড় একটা অংশ জুড়ে রয়েছে এই ক্লাব। আমি চাই ক্যারিয়ারের শেষ দিন পর্যন্ত আমার সঙ্গে বার্সার নাম জড়িয়ে থাকুক। বার্সেলোনার সঙ্গে আমার সম্পর্কটা ভালবাসার। আমি জানি না সামনে কি ঘটবে। সামনের ছয় মাস আমি বার্সেলোনাকে নিয়েই ভাবতে চাই। আমি কি করব সেটা বলা ঠিক হবে না, কারণ আমি নিজেই সেটা জানি না।’
তবে মেসিকে আকর্ষিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ঝলমলে জীবন। দেশটির মেজর সকার লীগেও খেলার ইচ্ছা মেসির। তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় যুক্তরাষ্ট্রের জীবন কাছ থেকে উপভোগ করার স্বপ্ন দেখেছি। সেখানকার লীগে খেলার কথাও ভেবেছি। জানি না এটা আদৌ সম্ভব হবে কি না। এসব ভাবনা ভবিষ্যতের। এখনকার জন্য নয়।’
ফুটবল ছাড়ার পর মেসি ফিরতে চান বার্সেলোনায়। কোন ভূমিকায় নিজেকে প্রিয় ক্লাবে দেখতে চান সেটাও বলেছেন ৩৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। তিনি বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত আমি বার্সেলোনাতেই ফিরব। সেটা অন্য ভূমিকায়। হতে পারে ক্লাবের ক্রীড়া পরিচালক বা এরকম কিছু একটা পদে।’