বৃটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তি অনুমোদনের জন্য আজ বুধবার বৃটিশ পার্লামেন্টে তোলা হচ্ছে। সাংসদরা একদিনের বৈঠকের জন্য ক্রিসমাস বিরতি থেকে ফিরে এসেছেন। সেখানে দিনব্যাপী আলোচনা শেষে অনুমোদনের পর ১লা জানুয়ারি থেকে এটি আইনে পরিণত হবে।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সাংসদদের কাছে ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তিকে বৃটেনের ইতিহাসের নতুন অধ্যায় বলে আখ্যায়িত করেছেন। এটি সকলের ঐক্যমতে অনুমোদনের জন্য তিনি আহবান জানিয়েছেন।
এদিকে ব্রেক্সিট-পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তি সর্বসম্মতি ক্রমে অনুমোদন করেছেন ইইউ’র ২৭টি সদস্য দেশের রাষ্ট্রদূতরা। ফলে চুক্তিটি কার্যকরের প্রধান বাধা দূর হয়েছে। বেঁধে দেয়া সময়ের একদিন আগেই ইইউ নেতারা ঐক্যমতে উপনীত হতে পারার খবরে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
বৃটেনের বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা স্যার কেয়ার স্টারমার পূর্বেই ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি সংসদে চুক্তির পক্ষে ভোট দেবেন।
তার মতে, চুক্তিবিহীন অবস্থা জাতীয় স্বার্থবিরোধী, তাই তিনি জাতীয় স্বার্থের পক্ষে ভোট দেবেন।
যুগান্তকারী ভোটের প্রাক্কালে টরি ইউরোসসেপটিকস ঘোষণা করেছে, তারা এই চুক্তিকে সমর্থন করবেন। ফলে শেষ পর্যন্ত ইউরোপজুড়ে পার্টির কয়েক দশকের বিভাজন শেষ হবে বলে মনে হচ্ছে।
ব্রেক্সিট পরবর্তী ঐতিহাসিক বাণিজ্য চুক্তির পর বরিস জনসন টুইটারে বলেছেন, আমি বিশ্বাস করি এটি ইইউতে আমাদের বন্ধুদের সাথে একটি সুখী, সফল এবং স্থিতিশীল অংশীদারিত্বের ভিত্তি হবে। বৃটেন নিজের অর্থ, সীমানা, আইন, বাণিজ্য এবং মাছ ধরার জলের নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে এনেছে। ১লা জানুয়ারী থেকে নিজেদের বিধি-বিধান আমরা নিজেরা নির্ধারণ করতে সক্ষম হবো। ৪০ বছর পর ব্রাসেলসের বাইরে আমরা নিজস্বভাবে চলতে সক্ষম হব।
১০মাস ধরে ব্যাপক দর কষাকষি ও বাক-বিতণ্ডার পর বহুল আলোচিত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে ঐক্যমতে ঘোষণা হয়েছে। অনেক বাধা পেরিয়ে কার্যকর হচ্ছে এটি। পার্লামেন্টে অনুমোদনের পর আইনে পরিণত হবে। ২০১৬ সালের গণভোটের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৩১শে জানুয়ারি ইইউ’র সঙ্গে বৃটেনের দীর্ঘ ৪৫ বছরের সম্পর্কের অবসান ঘটছে। অবশ্য উভয় পক্ষ মনে করছেন,এই চুক্তির ফলে অতীত সম্পর্কের অনেক কিছুই হয়ত বদলে যাবে, কিন্তু বন্ধুত্ব টিকে থাকবে। অংশীজন এবং মিত্র হিসেবে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে।