১০ জন তারকা ক্রিকেটারকে ছাড়াই আগামী জানুয়ারিতে বাংলাদেশে আসছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় সারির দল। এমন ঘটনায় বিস্মিত হয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান। অন্যদিকে রীতিমতো অবাক বাংলাদেশ টেস্ট দলের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক সৌরভ।
কিন্তু প্রশ্ন অন্যখানে। এই সব তারকা ক্রিকেটার ঠিকই অন্যান্য টুর্নামেন্ট খেলেছেন বা খেলে যাচ্ছেন। তাহলে বাংলাদেশে আসতে তাদের সমস্যা কোথায়? গত জুন-জুলাইয়ে এই ওয়েস্ট ইন্ডিজই মহামারীর ভয়ঙ্কর সময়ে সফর করেছে ইংল্যান্ডে। বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার এরপর দেশের বাইরে সিপিএল, আইপিএল খেলেছেন, নিউজিল্যান্ড সফর করেছেন, এখন বিগ ব্যাশ খেলছেন। এই সিরিজ-টুর্নামেন্টগুলোর মতো বাংলাদেশের সিরিজও জৈব-সুরক্ষা বলয়ে আয়োজন করা হচ্ছে। এত দেশে খেলার পর বাংলাদেশ সফরের আগে কোভিড নিয়ে ক্যারিবিয়ানদের হঠাৎ ভয় অবাক করেছে অনেককেই।
বিসিবির ডিরেক্টর আকরাম খান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিসিবির আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আমি দিচ্ছি না, তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি অবাক হয়েছি এতজন খেলোয়াড় আসবে না বলে। ওদের কাছ থেকে এরকম কোনো ইঙ্গিত আমরা দল ঘোষণার আগে পাইনি।’
তিনি আরো বলেন,‘তবে এটা ওদের ব্যাপার। এসব সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ক্রিকেটারদের যথেষ্ট স্বাধীনতা দেয় ওদের বোর্ড। অনেকে আসছে না মানেই ওদের দল খারাপ হয়ে যায়নি। আমাদের জন্য যথেষ্টই চ্যালেঞ্জিং হবে। সিরিজের গুরুত্বও কমছে না।’
অন্যদিকে আসন্ন টেস্ট সিরিজে নেতৃত্ব দিতে যাওয়া মুমিনুল হকও অবাক ক্যারিবীয় বহর দেখে। তিনি বলেন, ‘দল দেখে আসলে অবাক হয়েছি। এ রকম দল আসলে প্রত্যাশা করিনি। তবে হতাশ হইনি। তারা কেমন দল পাঠাবে, এটা নিয়ে তো আমাদের হতাশার কিছু নেই। আমাদের ভাবনা থাকবে নিজেদের নিয়ে।’
করোনাভাইরাস শঙ্কায় বাংলাদেশ সফর থেকে সরে দাড়িয়েছেন পোলার্ড, হোল্ডার, ড্যারেন ব্রাভো, শামার ব্রুকস, রোস্টন চেইস, শেলডন কটরেল, এভিন লুইস, শেই হোপ, শিমরন হেটমায়ার ও নিকোলাস পুরান। পারিবারিক কারণে নেই ফ্যাবিয়ান অ্যালেন ও শেন ডাওরিচ।
আগামী ১০ জানুয়ারি ঢাকায় পৌঁছাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচ হবে ২০ ও ২২ জানুয়ারি, মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। শেষ ম্যাচ ২৫ জানুয়ারি, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে।
জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্ট শুরু ৩ ফেব্রুয়ারি, মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু ১১ ফেব্রুয়ারি।