চোটকে জয় করে মাঠে ফিরেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ সামনে রেখে শুরু হওয়া টাইগারদের প্রস্তুতি ক্যাম্পে নিজেকে প্রস্তুত করছেন তিনি। জাতীয় দলের এই পেস অলরাউন্ডার জানিয়েছেন, তিনি এখন ভালো আছেন। গতকাল তিনি বলেন, ‘সিরিজের আগে রিকভারি করে উঠতে পারব কিনা এটা নিয়ে খুব চিন্তিত ছিলাম। রিহ্যাব চলাকালীন সময়ের শেষ কয়েকটা দিন বায়েজিদ ভাই, শাওন ভাই (ফিজিও) খুব সাহায্য করেছেন আমাকে। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করেছি, সব মিলিয়ে এখন ভালো আছি।’
ছোট্ট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে চোট যেন নিত্যসঙ্গী সাইফউদ্দিনের। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই চোট তার সঙ্গী। এ কারণে ক্রিকেট-যাত্রাটাও হচ্ছে থেমে থেমে। করোনার কারণে গত বছরের মার্চের পর থেকে দেশে খেলাধুলা বন্ধ ছিল। অক্টোবরে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ দিয়ে দেশে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট শুরু হয়। তামিম একাদশের হয়ে সেখানে খেলেন সাইফউদ্দিন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টিতে খেলার আগেই আবারও দুভার্গ্যজনকভাবে চোট পান তিনি। সেই চোট পুরোপুরি না সারতেই মাঠে নামেন তিনি। রাজশাহীর হয়ে খেলেন তিনটি ম্যাচ। পরে এমআরআই করলে দেখা যায় তার পুরনো চোটটা সারেনি। জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে শুরু হতে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে তাকে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত চোটকে জয় করে মাঠে ফিরেছেন এই প্রতিভাবান পেস অলরাউন্ডার। তাই তো খুশিতে দিশাহারা তিনি! সাইফউদ্দিন বলেন, ‘খুশির ব্যাপার। প্রকাশ করার মতো নয়; করোনার কারণে ঘরবন্দি ছিলাম। এর মধ্যে ডমিস্টিক খেললাম, বাট সব সময় জাতীয় দলের হয়ে খেলা, নিজেকে প্রতিনিধিত্ব করা অন্যরকম গর্বের বিষয়। সবচেয়ে বড় কথা হলো- আমাদের মাঝে সাকিব ভাই প্রায় এক বছর পর ফিরে এসেছেন, তার কারণে ভালো লাগাটা অন্যরকম। যেহেতু ঘরের মাঠে হোম সিরিজ এ কারণে আরও বেশি উদ্দীপনা জোগাচ্ছে আমাদের।’
জাতীয় দলে জায়গা পাওয়াটা এখন বেশ কঠিন। পারফরমারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। পেসাররা ভালো করছেন নিয়মিত। সাইফউদ্দিন তা জানেন। তাই তো অনুশীলনে নিজের সেরাটা উজাড় করে দিচ্ছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের চূড়ান্ত দলে সুযোগ পেলে এবং একাদশে থাকলে নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা করবেন তিনি। সাইফউদ্দিন বলেন, ‘এই তিন দিনের অনুশীলনে ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং করেছি। আপনারা জানেন, বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ ও বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে আমাদের পেসাররা ভালো পারফরম্যান্স করেছে। যার কারণে আমাদের জন্য এই জায়গাটা খুব বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, দলে সুযোগ পাওয়া বা বেস্ট ইলেভেনে থাকা। অনুশীলনে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছি। বাকিটা আল্লাহর হাতে। সব মিলিয়ে প্রতিটা সেশন খুব উপভোগ করছি। সামনে আরও কয়েক দিন প্র্যাকটিস করার সুযোগ পাব, প্র্যাকটিস ম্যাচও আছে। প্র্যাকটিস সেশনে এখন নিজেদের প্রস্তুত করছি।’ ২০ জানুয়ারি প্রথম ওয়ানডে দিয়ে মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার সিরিজ। তার আগে গত রবিবার থেকে অনুশীলন ক্যাম্প শুরু করেছেন টাইগাররা। প্রাথমিক ওয়ানডে দলে ২৪ জন ও টেস্ট দলে ২০ জন ক্রিকেটারকে রাখা হয়েছে। তবে চোটের কারণে ছিটকে গেছেন পারভেজ ইমন। এ ছাড়া বাঁ হাতে চোট পাওয়ায় ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে আছেন তাসকিন। আগামীকাল ১৪ ও ১৬ জানুয়ারি নিজেদের মধ্যে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন তামিম, মোস্তাফিজরা। ১৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের চূড়ান্ত দল ঘোষণা করবে বিসিবি।