বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩০ অপরাহ্ন

ছাত্রলীগের শূন্য পদ পূরণ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ১৪০ বার

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শূন্য পদ পূরণ করা হয়েছে। শূন্য থাকা বিভিন্ন পদে ৬৮ জনকে পদায়ন করা হয়েছে। আজ রোববার সন্ধ্যায় সংগঠনটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ঘোষিত কমিটিতে সহ-সভাপতি করা হয়েছে; সাইফ উদ্দিন বাবু, সাগর হােসেন সােহাগ, রায়হান কাওসার, রাকিব হােসেন, রানা হামিদ, আনন্দ সাহা পার্থ, শেখ সাগর আহমেদ, শুভ্রদেব হালদার, দেবাশীষ সিকদার সিদ্ধার্থ, আরিফ ইবনে আলী, আরিফ হােসেন রিফাত, জিয়াসমিন শান্তা, তিলোত্তমা শিকদার, শাহারিয়ার সিদ্দিকী শিশিম, ফরিদা পারভীন, উৎপল বিশ্বাস, মো. ওমর ফারুক, মিজানুর রহমান পিকুল, মুরাদ হায়দার টিপু, ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী সজীব, রাকিবুল হাসান নােবেল, খাদিজাতুল কুবরা, মাে. মহিন উদ্দিন, রকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য, জেসমিন আরা রুমাকে।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন আব্দুল জাব্বার রাজকে। এ ছাড়া দপ্তর সম্পাদক ইন্দ্রনীল দেব শর্মা রনি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মেহেদি হাসান সানি পাঠাগার সম্পাদক সৈয়দ ইমাম বাকের, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার জামি উস সানি, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক তুহিন রেজা, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা বিষয়ক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ ফয়সাল, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক আল-আমিন রহমানকে।

উপ-প্রচার সম্পাদক ফেরদৌস মাহমুদ পলাশ, উপ-দপ্তর সম্পাদক সজীব নাথ, উপ-দপ্তর সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম খান শিমুল, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক তন্ময় দেবনাথ, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান, উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাে. মােরশেদুর রহমান আকন্দ, উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক শেখ নাজমুল, উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাে. মাইনুল হাওলাদার, উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইসমাইল হােসেন, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সামাদ আজাদ জুলফিকার, উপ-পাঠাগার সম্পাদক এম আর মুকুল, উপ-পাঠাগার সম্পাদক আনােয়ার হােসেন, উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মাে. আব্দুর রশিদ (রাফি), উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মাে. আতিকুল ইসলাম (আতিক), উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক শাহেদ খান, উপ-তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এহসান পিয়াল, উপ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াহিদ খান রাজ, উপ-স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা বিষয়ক সম্পাদক রাজ্যে বৈশ্য, উপ-স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা বিষয়ক সম্পাদক জেরিন সিকদার, উপ-স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা বিষয়ক সম্পাদক সাধন বিশ্বাস। উপ-স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা বিষয়ক সম্পাদক মাে. রিজভান আহমেদ, উপ-ছাত্রবৃত্তি সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, উপ-কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক শাজাহান ভূইয়া শামীম।

সহ-সম্পাদক মনোনীত হয়েছে, ফারুকুল ইসলাম, ফাইজুল ইসলাম সজিব, শেখ রিজওয়ান আলী, আয়শা আক্তার সুমি, এম সাইফুল ইসলাম সাইফ, এইচ এম রােমান মাহমুদ, মােঃ রুবেল শিকদার, মীর সাব্বির, জাহিদুল ইসলাম নােমান। এছাড়া সাজিদ আহমেদ দীপ্ত এবং আলী হােসেন আলমকে সদস্য করা হয়েছে।

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সংগঠনের কমিটি করতে সকল পদ পূরণ করা হয়েছে। ব্যাপক যাচাই বাছাইয়ের কারণে সবগুলো পূরণ করতে সময় লেগেছে। পূর্ণাঙ্গ কমিটি সামনে ছাত্রলীগকে আরও গতিশীল করবে। দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করবে।’ এ সময় সংগঠন পরিচালনায় সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলনের পর ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই সভাপতি পদে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক পদে গোলাম রাব্বনীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, স্বজনপ্রীতিসহ নানা অভিযোগে পূর্ণাঙ্গ মেয়াদে দায়িত্ব পালনের আগেই ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করতে বাধ্য হন এই দুই নেতা। তাদের অব্যাহতির পর সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পান আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান লেখক ভট্টাচার্য। ৩ মাস ভারপ্রাপ্ত থাকার পর ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তাদেরকে পূর্ণাঙ্গ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এর আগে সভাপতি পদে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক পদে গোলাম রাব্বনী দায়িত্ব পাওয়ার এক বছর পর ২০১৯ সালের ১৩ মে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহি সংসদের ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। আর কমিটি ঘোষণার পরপরই প্রশ্ন উঠে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদ পাওয়া ব্যক্তিদের নিয়ে। অভিযোগ ওঠে কমিটিতে যোগ্যদের স্থান না দিয়ে বিতর্কিত এই কমিটিতে স্থান পেয়েছেন হত্যা-চেষ্টা মামলার আসামি, মাদকসেবী, বিএনপি-জামায়াত ও রাজাকার পরিবারের সন্তান, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত, সন্ত্রাস-চাঁদাবাজিতে যুক্ত, বিবাহিত, সংগঠনে নিষ্ক্রিয় এবং অ-ছাত্ররাও। এছাড়া সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামেন ছাত্রলীগের পদ বঞ্চিত ও পদ না পাওয়া নেতা-কর্মীরা।

পরবর্তীতে দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর জয়-লেখক তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বিতর্কিত ২১ জনের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের পদ শূণ্য ঘোষণা করেন। পাশাপাশি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরো ১১ জনের পদ শূন্য ঘোষণা করেন তারা।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর নথি জালিয়াতির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত বদলে দেওয়ার অভিযোগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম মুমিনকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। এর বাইরে বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ সহ-ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির মোট ৪৮টি পদ শূন্য হয়।

এদিকে বিভিন্ন সময়ে ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী ও পদবঞ্চিতরা এসব শূন্য পদে যোগ্যদের পদায়নের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সর্বশেষ গত ২৭ ডিসেম্বর ছাত্রলীগে ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক জরুরি সভায় শূন্যপদ পূরণের বিষয়ের বিষয়টি উত্থাপন করা হলে তখন আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্য প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আগে আওয়ামী লীগের দলীয় সভায় পর পূরণের অঙ্গীকার করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com