সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার রেশ না কাটতেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। ২৩ ফেব্রুয়ারি তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেবে বাংলাদেশ দল। আগামী ২০ মার্চ থেকে শুরু হবে ওয়ানডে সিরিজ। এর পর ২৮ মার্চ থেকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশ।
২০১৯ সালের মার্চে ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলা হওয়ায় সফর শেষ না করেই দেশে ফিরেছিলেন তামিম, মুশফিকরা। প্রায় দুই বছর বিরতির পর আবারও নিউজিল্যান্ডে যাচ্ছেন তারা। আগামী ১৩ মার্চ থেকে বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফর শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সবাইকে খেলার জন্য প্রস্তুত হতে সিরিজ এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিউজিল্যান্ডে গিয়ে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকবে বাংলদেশ দলের ক্রিকেটাররা।
এরই মধ্যে দল গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন নির্বাচকরা। যদিও ক্যারিবিয়ানদের কাছে টেস্ট সিরিজে হতাশ হওয়ার পর অনেক চটেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। ক্রিকেটে অনেক পরিবর্তন আনার আভাস দেন তিনি। টিম ম্যানেজমেন্টেরও একহাত নেন বিসিবি সভাপতি। টিম নির্বাচন ঘিরেও অনেক প্রশ্ন উঠেছে। সব মিলিয়ে ধারণা করা হচ্ছে, আসন্ন নিউজিল্যান্ড সফরের দলে পরিবর্তন আসতে পারে। সম্ভাব্য ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলে থাকা ক্রিকেটাররা ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন। টেস্ট সিরিজ শেষ হওয়ার পর এক সপ্তাহের বেশি সময় হাতে পাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে এ সময় দেশের মাটিতে কোনো প্রস্তুতি ক্যাম্প গড়ছে না টাইগাররা।
বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান জানিয়েছেন, খেলোয়াড়দের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করেই ক্যাম্প আয়োজনের পরিকল্পনা করেনি বিসিবি। নিউজিল্যান্ডে গিয়েই বাড়তি অনুশীলনে নিজেদের ঝালিয়ে নেবেন তামিম-মাহমুদউল্লাহরা। অবশ্য নিউজিল্যান্ড সফরে খেলবেন না সাকিব আল হাসান। তৃতীয় সন্তানের বাবা হতে যাচ্ছেন তিনি। পরিবারের পাশে থাকতে ছুটি নিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচ খেলে পিঠের ব্যথায় ভুগছিলেন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাকে ঘিরে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। তবে বিসিবির পক্ষ থেকে জানা গেছে, নিউজিল্যান্ড সফরে মাহমুদউল্লাহকে পাওয়া নিয়ে কোনো ধরনের শঙ্কা নেই।
এদিকে নিউজিল্যান্ড সফরে যাওয়ার আগেই করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়া হবে ক্রিকেটারদের। টিকা নেওয়ায় ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে খেলোয়াড়েদের মধ্যে। তবে কোনো ক্রিকেটারকে টিকা নিতে বাধ্য করা হচ্ছে না। আগামীকাল নাম দেওয়া আগ্রহী ক্রিকেটারদের টিকা দেওয়া হবে। বিশেষ ব্যবস্থায় কোচিং স্টাফদেরও টিকা দেওয়া হবে।