ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাবন্দী লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর আগে তার চিকিৎসায় কারো কোনো অবহেলা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম জানান, তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী ও উম্মে হাবিবা ফারজানা।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আমরা যতটুকু জেনেছি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুশতাক আহমেদ বাথরুমে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে রাতে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
তিনি বলেন, ‘মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর আগে তার চিকিৎসায় কারো কোনো অবহেলা আছে কিনা মূলত তা খতিয়ে দেখতেই অভ্যন্তরীণ ভাবে এ কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া তার মৃত্যুতে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা তা তার ভিসেরা প্রতিবেদন পাওয়ার পর চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা জানাবেন।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন লেখক ও এশিয়া মহাদেশের প্রথম বাণিজ্যিকভাবে কুমির চাষী মুশতাক আহমেদ (৫৩)। গত বৃহস্পতিবার কারাগারের ভেতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাকে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন গতকাল শুক্রবার ময়নাতদন্ত ও সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে দুপুরে পুলিশ তার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে।বাদ এশা রাজধানীর লালমাটিয়া মিনার মসজিদে দাফন শেষে মুশতাক আহমেদকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।