তিনি জান্নাতি পোশাক পরিধান করে আবর্জনার স্তূপ সরে গিয়ে একপাশে বসে রইলেন। তাঁর স্ত্রী প্রতিদিনের রুটিন অনুযায়ী তাঁকে দেখতে আসেন। কিন্তু তাঁকে তাঁর স্থানে দেখতে না পেয়ে কান্না শুরু করে দেন। একপাশে উপবিষ্ট আইয়ুব (আ:)কে চিনতে না পেরে তিনি তাঁকেই জিজ্ঞেস করেন যে, আপনি জানেন কি এখানে যে অসুস্থ লোকটি পড়ে থাকতেন তিনি কোথায় গেলেন। কুকুর ও বাঘ কি তাঁকে খেয়ে ফেলেছে। তাঁর স্ত্রীর সবকিছু শুনে বললেন যে, আমিই তোমার আইয়ুব। কিন্তু স্ত্রী চিনতে পারলেন না। তিনি আইয়ুব আ:কে বললেন যে, আপনি কি আমার সঙ্গে পরিহাস করছেন? আইয়ুব (আ:) আবার বললেন আমিই আইয়ুব। মহান আল্লাহ্ পাক আমার দোয়া কবুল করেছেন এবং নতুন স্বাস্থ্য দান করেছেন। হযরত ইব্নে আব্বাস রা: বলেন, মহান আল্লাহ্ পাক এরপর তাঁর সন্তান-সন্ততি এবং ধন-সম্পদও ফিরিয়ে দিলেন। শুধু তাই নয়, সন্তানদের সমসংখ্যক বাড়তি সন্তানও দান করলেন। (তাফছীরে ইব্নে কাছীর)। হযরত ইব্নে মাছউদ রা: বলেন, হযরত আইয়ুব আ: এর সাত পুত্রসন্তান ও সাত কন্যাসন্তান ছিল। মহান আল্লাহ্র পরীক্ষার দিনগুলোতে তারা সবাই মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছিল। মহান আল্লাহ্ পাক যখন তাঁকে সুস্থতা দান করলেন তখন তাঁর সন্তানদেরও পুনরায় জীবিত করে দেন। এবং তাঁর স্ত্রীর গর্ভে আরো সন্তানাদি জন্ম দান করেন। (তথ্যসূত্র, তাফছীরে কুরতবী)।