মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন

আইয়ুব (আঃ) এর দোয়া কবুল হয় যেভাবে

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল, ২০২১
  • ২০১ বার

মাহে রমজানের সপ্তম দিন। হযরত আব্দুল্লাহ ইব্‌নে আব্বাস বর্ণনা করেন যে, হযরত আইয়ুব (আঃ) এর দোয়া কবুল হওয়ার পর তাঁকে আদেশ করা হলো যে, পায়ের গোড়ালি দ্বারা মাটিতে আঘাত করুণ। মাটিতে পরিষ্কার পানির ঝর্ণা দেখা দেবে। এই পানি পান করুন এবং ওই পানি দিয়ে গোসল করুন। দেহের সকল রোগ-ব্যাধি শিফা অর্থাৎ নিরাময় হয়ে যাবে। হযরত আইয়ুব (আ:) তদ্রূপই করলেন। ঝর্ণার পানি দ্বারা গোসল করতেই ক্ষত জর্জরিত দেহ নিমিষের মধ্যে রক্ত-মাংস এবং কেশমণ্ডিত দেহে রূপান্তরিত হয়ে গেল। আল্লাহ্‌ পাক তাঁর জন্য জান্নাতের পোশাক প্রেরণ করলেন।

তিনি জান্নাতি পোশাক পরিধান করে আবর্জনার স্তূপ সরে গিয়ে একপাশে বসে রইলেন। তাঁর স্ত্রী প্রতিদিনের রুটিন অনুযায়ী তাঁকে দেখতে আসেন। কিন্তু তাঁকে তাঁর স্থানে দেখতে না পেয়ে কান্না শুরু করে দেন। একপাশে উপবিষ্ট আইয়ুব (আ:)কে চিনতে না পেরে তিনি তাঁকেই জিজ্ঞেস করেন যে, আপনি জানেন কি এখানে যে অসুস্থ লোকটি পড়ে থাকতেন তিনি কোথায় গেলেন। কুকুর ও বাঘ কি তাঁকে খেয়ে ফেলেছে। তাঁর স্ত্রীর সবকিছু শুনে বললেন যে, আমিই তোমার আইয়ুব। কিন্তু স্ত্রী চিনতে পারলেন না। তিনি আইয়ুব আ:কে বললেন যে, আপনি কি আমার সঙ্গে পরিহাস করছেন? আইয়ুব (আ:) আবার বললেন আমিই আইয়ুব। মহান আল্লাহ্‌ পাক আমার দোয়া কবুল করেছেন এবং নতুন স্বাস্থ্য দান করেছেন। হযরত ইব্‌নে আব্বাস রা: বলেন, মহান আল্লাহ্‌ পাক এরপর তাঁর সন্তান-সন্ততি এবং ধন-সম্পদও ফিরিয়ে দিলেন। শুধু তাই নয়, সন্তানদের সমসংখ্যক বাড়তি সন্তানও দান করলেন। (তাফছীরে ইব্‌নে কাছীর)। হযরত ইব্‌নে মাছউদ রা: বলেন, হযরত আইয়ুব আ: এর সাত পুত্রসন্তান ও সাত কন্যাসন্তান ছিল। মহান আল্লাহ্‌র পরীক্ষার দিনগুলোতে তারা সবাই মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছিল। মহান আল্লাহ্‌ পাক যখন তাঁকে সুস্থতা দান করলেন তখন তাঁর সন্তানদেরও পুনরায় জীবিত করে দেন। এবং তাঁর স্ত্রীর গর্ভে আরো সন্তানাদি জন্ম দান করেন। (তথ্যসূত্র, তাফছীরে কুরতবী)।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com