পরলোকগমন করলেন মিজোরামের জিয়োনা চানা। তার বয়স হয়েছিল ৭৬। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিবাবের প্রধান ছিলেন বলে ধারণা একাংশের।
উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যের সেরচিপ জেলার বক্তওয়াং ল্যাংনুয়াম গ্রামের বাসিন্দা জিয়োনার স্ত্রী আছেন ৩৮ জন। সন্তান সংখ্যাও নেহাত কম নয়। ৮৯ জনের বাবা ছিলেন জিয়োনা। সেইসাথে পরিবারে আছেন অসংখ্য নাতি-নাতনি। পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার দুপুর তিনটে নাগাদ ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ সংক্রান্ত কারণে জিয়োনার মৃত্যু হয়েছে। মিজোরামের রাজধানী আইজলের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি।
জিয়োনার মৃত্যুর পর টুইট করেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা। তিনি লেখেন, ‘দুঃখের সঙ্গে মিস্টার জিয়োনাকে (৭৬) শেষ বিদায় জানাচ্ছে মিজোরাম। ৩৮ জন স্ত্রী এবং ৮৯ জন সন্তানসহ যিনি বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিবারের প্রধান ছিলেন বলে মনে করা হয়। তার পরিবারের জন্য মিজোরাম এবং বক্তওয়াং ল্যাংনুয়াম গ্রাম পর্যটকদের বড়সড় আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল। আত্মার চিরশান্তি কামনা করি।’
মিজোরামের চানা পাউল নামে একটি খ্রিস্টান গোষ্ঠীর প্রধান ছিলেন জিয়োনা। যা ১৯৪২ সালে তৈরি করেছিলেন তার বাবা। সেই গোষ্ঠী বহুবিবাহের প্রথায় বিশ্বাসী। ওই গোষ্ঠী তৈরি হওয়ার তিন বছর পর ১৯৪৫ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন জিয়োনা। ১৭ বছরে প্রথম বিয়ে করেছিলেন। তিন বছরের বড় ছিলেন স্ত্রী। তারপর একাধিকবার বিয়ে করেছিলেন। ২০০৪ সালে শেষবার বিয়ে করেছিলেন জিয়োনা। পরিবারের সব সদস্য যাতে একসাথে থাকতে পারেন, সেজন্য গ্রামেই একটি চারতলা বাড়ি তৈরি করেছিলেন তিনি। তাতে ১০০-এর বেশি ঘর আছেন। সেখানে তার স্ত্রী, সন্তান ও পরিবারের সদস্যরা থাকেন। জিয়োনার মেয়েরা অবশ্য নিজেদের স্বামী ও পরিবারের সাথে অন্যত্র থাকেন। সবমিলিয়ে জিয়োনার পরিবারের ১৮০ জনের বেশি সদস্য আছেন। ২০১৪ সালে একটি বিজ্ঞাপনেও দেখা গিয়েছিল জিয়োনার পরিবারকে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস