সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা বিষয়ে বক্তব্য দিয়ে আলোচিত-সমালোচিত মুফতি কাজী ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে ডিএমপির মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রতারণা ও সম্পদ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে জেড এম রানা নামে এক ব্যক্তি এ মামলা দায়ের করেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আব্দুল লতিফ জানান, মুফতি কাজী ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। জেড এম রানা নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ৪২০, ৪০৬ ও ৩৮৫ ধারায় মামলাটি করেন।
এর আগে সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর লালমাটিয়ার জাকির হোসেন রোডের বাসা থেকে আটক করা হয় ধর্মীয় বক্তা মুফতি কাজী ইব্রাহীমকে। সম্প্রতি জুম্মার নামাজের খুতবা, ওয়াজ মাহফিল, ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক আইডি ও পেজে নানা ধরনের বক্তব্য, তত্ত্ব ও সূত্র দিয়ে আলোচিত-সমালোচিত হন।
তাকে আটকের কারণের বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জানায়, ‘হিন্দুস্থানের দালাল বলে উসকানিমূলক বক্তব্য’, ‘বিভিন্ন বিষয়ে কাল্পনিক মতবাদ’, ‘করোনার সঙ্গে কথোপকথন’সহ নানা সময় বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্কিত বক্তব্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে মুফতি কাজী ইব্রাহীমকে আটক করা হয়েছে। তিনি সন্তোষজনক ব্যাখ্যা বা উত্তর না দিতে পারলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাটি।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, ‘করোনা নিয়ে মিথ্যে তথ্য প্রচার করছেন কাজী ইব্রাহীম। সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়ে তার বক্তব্য ভাইরাল হয়। মুফতি ইব্রাহীম ফেসবুক, ইউটিউবসহ তার ওয়াজে উল্টাপাল্টা কথা বলে আসছেন। গতরাতেও (সোমবার) ফেসবুক লাইভে তিনি বাংলাদেশের মানুষকে হিন্দুস্থানের দালাল ও র’-এর এজেন্ট বলে প্রচার করেছেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে করোনা নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার ও ধর্মীয় উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার করেছেন। যা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা, বিতর্ক হচ্ছে।’