আগামী ১১ নভেম্বর ভোলার দৌলতখান উপজেলায় ৭টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই ভোটের মাঠ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলের কিছু অংশ বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নামায় ভোটের সমীকরণ ঘোলাটে হচ্ছে। এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও তাদের প্রচার-প্রচারণায় বাধা, তাদের কর্মীর ওপর হামলার অভিযোগ করেছেন নৌকার প্রার্থীদের বিরুদ্ধে।
তবে পাল্টা অভিযোগ করে নৌকার প্রার্থীরা জানান, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কোন ভোট নেই। তারা নির্বাচনী পরিবেশ উত্তপ্ত করার জন্যই মাঠে রয়েছেন।’ অন্যদিকে মেম্বার প্রার্থীরাও বিজয়ের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
এদিকে সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া, নির্বাচনী ক্যাম্প ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর, এসব ঘটনায় দৌলতখানে অন্তত শতাধিক কর্মী সমর্থক আহত হয়েছেন। সর্বশেষ গত শনিবার সন্ধ্যায় দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়। অন্যদিকে গতকাল রোববার সকালে উপজেলার চরখলিফা ৪নং ওয়ার্ডের আলমগীর হোসেন নামে এক মেম্বার প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন এবং তার পোস্টার পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীদের সমর্থকদের হামলা, মারপিট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ফলে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
এ প্রসঙ্গে দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ তারেক হাওলাদার জানান, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কাজ করছে প্রশাসন। নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ কয়েকটির ঘটনার বিষয় তিনি খতিয়ে দেখছেন বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, দৌলতখানে ৭টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ১৩৯ জন, এদের মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৫২ হাজার ২১ জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৪৮ হাজার ১১৮ জন। মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৬৯টি।