দিন যতই এগোচ্ছে, হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দিনাজপুরসহ দেশের উত্তর জনপদে ততই জেঁকে বসছে শীত। নামছে তাপমাত্রা মাপন যন্ত্রের পারদ। দিনাজপুরে মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন এটিই সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত হয়ে পড়েছে উত্তরের এ জনপদ।
দিনাজপুরে গত কয়েকদিন থেকে সূর্য পশ্চিম দিকে গড়িয়ে বিকাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত। তীব্র এ শীত অব্যাহত থাকছে সকাল ১০টা পর্যন্ত। এ সময় গরম কাপড় পড়ে রাস্তায় বের হচ্ছে মানুষ।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, হিমালয় থেকে উত্তরের হিমেল বায়ু সক্রিয় হওয়ায় দিনাজপুরে একদিনের ব্যবধানে মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমেছে ১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার এটিই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানান তিনি। সোমবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি বলেন, উত্তরের হিমেল বায়ু সক্রিয় হওয়ায় এ তাপমাত্রা কমেছে। এ হিমেল বায়ু অব্যাহত থাকায় আজ তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে আভাস দেন তিনি।
দিনাজপুরসহ আশপাশের অঞ্চলে ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত থাকায় মঙ্গলবার বেলা ১১টা পর্যন্ত দেখা যায়নি সূর্যের মুখ। সোমবার সন্ধ্যা হতে না হতেই নামে এ ঘন কুয়াশা এবং তা মঙ্গলবার বেলা ১১টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। ঘন কুয়াশার কারণে মঙ্গলবার দিনে সড়ক ও মহাসড়কে যানবাহন চলাচল করে হেডলাইট জ্বালিয়ে এবং ধীরগতিতে।
আবহাওয়ায় দপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় কুয়াশার প্রভাব বেড়েছে। মঙ্গলবার বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ।
শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করায় দিনাজপুরে ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের দুর্ভোগ বাড়তে শুরু করেছে। বাড়ছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ।