অবশেষে যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোল্লা আমীর হোসেন ও সচিব অধ্যাপক এএমএইচ আলী আর রেজাকে প্রত্যাহার করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। একই সঙ্গে চেয়ারম্যান পদে যশোর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ড. আহ্সান হাবীব ও সচিব পদে রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামান সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক সরকারকে নিযুক্ত করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব ড. শ্রীকান্ত কুমার চন্দ্র স্বাক্ষরিত চিঠিতে মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এদিকে, যশোর শিক্ষা বোর্ডের প্রায় সাত কোটি টাকা আত্মসাৎ ও জালিয়াতির মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের সমন্বিত যশোর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাত।
৭ অক্টোবর যশোর শিক্ষা বোর্ডে প্রথম জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ে। এরপর একে একে বেরিয়ে আসে বোর্ড থেকে ৩৬টি চেকের মাধ্যমে ৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা। ১৮ অক্টোবর দুদকের সমন্বিত যশোর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল এ বিষয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আসামিরা হলেন-অধ্যাপক মোল্লা আমীর হোসেন, অধ্যাপক এএমএইচ আলী আর রেজা, হিসাব সহকারী আবদুস সালাম, ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক শরিফুল ইসলাম বাবু ও শাহীলাল স্টোরের মালিক আশরাফুল আলম।
এ ঘটনার পর তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ। যশোর শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক ও তদন্ত কমিটির প্রধান কেএম রব্বানি ১৪ নভেম্বর সচিবের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। এতে ৩৬টি চেকের মাধ্যমে ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এ জালিয়াতির সঙ্গে বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও জড়িত আছেন বলে উল্লেখ করা হয়।
দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা নাজমুচ্ছায়াদাত বলেন, ইতোমধ্যে তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে। আত্মসাৎ করা টাকার শেষ গন্তব্য আমরা খুঁজে বের করব। এর সঙ্গে জড়িত যেই হোন না কেন, কেউ রেহাই পাবেন না।