একটি দৃষ্টন্তমূলক রায় হবে, এমন আশা বুকে নিয়ে বসে আছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ। তিনি এমন একটি দৃষ্টান্তমূলক রায় চান, যাতে আর কোনো বাবা-মায়ের বুক খালি না হয়। রায়ে সব আসামির মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করছি।
দুই বছর আগে বাংলাদেশকে নাড়িয়ে দেওয়া আবরার হত্যা মামলার আসামিদের সাজা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত জানা যাবে আজ বুধবার। ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক আবু জাফর কামরুজ্জামান এ মামলার রায় ঘোষণা করবেন।
বুয়েটের শেরেবাংলা হলের আবাসিক ছাত্র আবরারকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়। সেই ঘটনায় ক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে বুয়েট। বুয়েটে নিষিদ্ধ হয় ছাত্র রাজনীতি।
আবরারের বাবা, এ মামলার বাদী বরকত উল্লাহ জানান, ‘এখানো শেষ রাতে ঘুম ভেঙে যায়, ছেলেটার কথা মনে পড়ে। সারাজীবনই মনে পড়বে।’ ভারী হয়ে আসা কণ্ঠে বরকতুল্লাহ বলেন, আমার ছেলেটা কখনো শিবির করেনি। অথচ ওকে শিবির বলে পিটিয়ে মারল।
এ মামলায় অভিযুক্ত ২৫ আসামির সবাই বুয়েটের ছাত্র এবং ছাত্রলীগের কর্মী। তাদের তিনজনকে পলাতক দেখিয়ে এ মামলার বিচার চলে।
২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলা বিচারে এসেছিল। দুই পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে গত ১৪ নভেম্বর বিচারক এ মামলার রায়ের জন্য ২৮ নভেম্বর তারিখ রেখেছিলেন। কিন্তু আরও কিছু ‘সময় দরকার’ জানিয়ে সেদিন রায় পিছিয়ে ৮ ডিসেম্বর নতুন তারিখ রাখেন বিচারক।
আবরারের বাবা বলেন, ‘আদালতের প্রতি আমাদের পরিপূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থা আছে। রায়টা যেন এবার হয়। রায়ে সব আসামির সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করছি। কেউ যেন মামলা থেকে খালাস না পায়। রায়টি যেন দৃষ্টান্তমূলক হয়। আর যেন আমার মত কোনো বাবা মায়ের বুক খালি না হয়।’