শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৩১ পূর্বাহ্ন

যুবকের কবজি ও গোড়ালি কেটে নিল প্রতিপক্ষরা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ১২৮ বার

শরীয়তপুরের জাজিরায় কুপিয়ে লিটন কবিরাজ নামে এক যুবকের হাতের কবজি ও পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন করেছে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা। গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে জাজিরা পৌরসভার কবিরাজ কান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত লিটনকে রাত ৯টার দিকে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়েছে।

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে লিটন কবিরাজের বাম হাতের কবজি, ডান পায়ের গোড়ালি ও ডান হাতের তিনটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

আহত লিটন কবিরাজ পুলিশের কাছে দাবি করেছে, জাজিরা পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল হক কবিরাজ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সেকান্দার সাকিদারের সমর্থকেরা এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।

তবে আবদুল হক কবিরাজ জানান, আমি কোনো সন্ত্রাসী নই। লিটনের ওপর হামলার ঘটনায়ও আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। রাজনৈতিক কারণে আমাকে জড়ানো হচ্ছে।

জাজিরা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য সেকান্দার সাকিদার বলেন সন্ধ্যা থেকে আমি ও আবদুল হক কবিরাজ অস্ত্রের লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য থানায় ছিলাম। সেখানে বসেই লিটনের ওপর হামলার কথা জানতে পেরেছি। আমরা এই হামলায় জড়িত নই।

শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া-জাজিরা সার্কেল) মিজানুর রহমান জানায়, গত বছর জাজিরা পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল হক কবিরাজ পরাজিত হন। আর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করে বিজয়ী হন সেকান্দার সাকিদার। পরাজিত হন সিরাজ কবিরাজ। নির্বাচনের পর থেকে সিরাজের সঙ্গে আবদুল হক কবিরাজ ও সেকান্দার সাকিদারের বিরোধ চলে আসছে গত এক বছর ধরেই। আহত লিটন পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী সিরাজের আত্মীয় ও সমর্থক। তিন মাস আগে তারা কাউন্সিলর সেকান্দারের ভাই তোফাজ্জল সাকিদারকে কুপিয়ে আহত করেছিল।

আহত লিটন পুলিশকে জানিয়েছে, পৌর নির্বাচনের বিরোধ নিয়ে তার ওপর হামলা হয়েছে। তিনি পুলিশের কাছে দুজনের নাম বলেছে। এ ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের জন্য ও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আটক করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এখনো থানায় মামলা হয়নি। ওই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে লিটনের ওপর এ হামলা হয়েছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে ও অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com