বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৪৮ অপরাহ্ন

তুর্কি কন্যা এখন বাংলার নববধূ!

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ১১৮ বার

তুর্কি তরুণী আয়েশা ওজতেকিনের সঙ্গে ময়মনসিংহের তরুণ হুমায়ুনের কবিরের পরিচয়টা চাকরির সুবাদে। পরিচয় থেকে প্রণয়, পরে বিয়ের উদ্দেশে সুদূর তুরস্ক ছেড়ে বাংলাদেশে পাড়ি জমান এই তরুণী। আজ শুক্রবার বিকেলে মুক্তাগাছা পৌর এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে বাঙালি আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয় আয়েশা-হুমায়ুনের বিয়ে।

জানা গেছে, হুমায়ুন রংপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে এইচএসসি শেষ করে ২০১০ সালে স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে যান তুরস্কে। আনকারা শহরের হাজেত্তেপে ইউনিভার্সিটিতে মেডিসিন বিভাগে ২০১৭ সাল পর্যন্ত পড়াশোনা করেন তিনি। পরে ২০১৮ সাল থেকে আনতালিয়া শহরের লাইফ হসপিটালে শুরু হয় তার কর্মজীবন। ওই হাসপাতালের প্রধান হিসাবরক্ষক ছিলেন তুর্কি তরুণী আয়েশা ওজতেকিন। সেই চাকরির সুবাদে পরিচয় দুজনের। পরিচয় থেকেই কাছে আসেন এবং জড়ান প্রেমের সম্পর্কে। অবশেষে দুই পরিবারের সম্মতিতেই সারাজীবনের সঙ্গী করে নেন একে অপরকে।

সংগৃহীত ছবি

হুমায়ুন কবির বলেন, ‘তুরস্কে সাধারণত এই উপমহাদেশের মানুষ খুব কম থাকে। আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি জানার আগ্রহ থেকেই মূলত আমার সঙ্গে পরিচয় হয় তার। নিয়মিত নানা বিষয়ে কথাবার্তা হতো। সেই থেকেই আস্তে আস্তে প্রেম এবং অবশেষে বিয়ে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রেম এবং বিয়ের ক্ষেত্রে আয়েশার আগ্রহটাই বেশি ছিল। আসলে এমন কিছুর জন্য তো কোনো পরিকল্পনা থাকে না। দেশের বাইরের কারও সঙ্গে প্রেম-সম্পর্ক কিংবা বিয়ের বিষয়টি অবশ্যই একটু ঝুঁকিপূর্ণ। তবে, তার যেহেতু আগ্রহটা বেশি ছিল তাই আমিও রাজি হয়েছি। বাবা প্রথমে রাজি না থাকলেও মা তাকে খুব পছন্দ করেছিলেন। পরে বাবাও রাজি হয়েছেন। অবশেষে আমরা সারাজীবনের জন্য এক হতে পেরেছি। বাংলাদেশে এসে খুব সহজেই নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে সে। এ ছাড়া সবার সঙ্গে সহজেই মিশতে পারে ও। এরই মধ্যে বাবা-মায়ের মন জয় করে নিয়েছে আয়েশা।’

নববধূ আয়েশা ওজতেকিন বলেন, ‘প্রথমত বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় অনেক নরম। তাদের মাঝে ভালোবাসাটা একটু বেশি, অনেক আবেগী তারা। এ কারণে আমি হুমায়ুনের প্রতি আকৃষ্ট হই। তার গুণ বলে শেষ করা যাবে না। আমি তাকে খুব ভালবাসি।’

তিনি আরও বলেন, প্রথমে বাবা রাজি ছিলেন না। পরে মা বাবাকে রাজি করিয়েছেন। আমার মা অনেক বছর দেশের বাইরে থাকায় অন্যদেশের মানুষের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কোনো সমস্যা হয়নি। হুমায়ুনকে দেখার পর আমার মা-বাবা দুজনেরই পছন্দ হয়। তাই তারা এ সম্পর্ক মেনে নিয়েছেন।

এদিকে, হুমায়ুনের বাবা হাসান আলী বলেন, কয়েকদিন হলো সে এখানে এসেছে। ভিন্ন সংস্কৃতির মেয়ে হয়েও কয়েকদিনেই সে যেভাবে আমাদের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে তা সত্যিই অকল্পনীয়। তকে পুত্রবধূ হিসেবে পেয়ে আমরা খুশি।

মা হোসনে আরা বলেন, ছেলের সঙ্গে যখন থেকে আয়েশার সম্পর্ক তখন থেকেই তার সঙ্গে আমি কথা বলতাম ভিডিও কলে। তাকে আমার খুবই ভালো লাগত। এখানে এসে আমাদের সঙ্গে যতটা মিশেছে, একজন বাঙালি মেয়েও এতটা মিশতে পারে না।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com