শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন

‘শরীরের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে এলমাকে আঘাত করা হয়নি’

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ১৫৯ বার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নৃত্যকলা বিভাগের ছাত্রী এলমা চৌধুরী হত্যা মামলায় স্বামী ইফতেখার আবেদীনের আবারও দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব শুনানি শেষে এ রিমান্ডের আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সালাউদ্দিন মোল্লা তিন দিনের রিমান্ড শেষে ফের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, তিন দিনের রিমান্ডে পেয়ে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আসামি চতুরতার সঙ্গে ঘটনার নানা বিষয় গোপন করে যায়। ঘটনায় জড়িত পলাতক দুই আসামির বিষয়ে ইফতেখার সুকৌশলে গোপন করে যায়।

রিমান্ড আবেদনে আরও বলা হয়, মামলাটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা। সারা দেশে মামলাটি ব্যাপক আলোচিত। আসামিকে আরও নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে পলাতক দুই আসামিকে গ্রেপ্তার এবং ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন সম্ভব হবে। এজন্য তার পুনরায় ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা প্রয়োজন।

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউর মো. শামসুর রহমান বলেন,‘শরীরের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে এলমাকে আঘাত করা হয়নি। এমনভাবে টর্চার করে এলমাকে হত্যা করা হয়েছে।’

অন্যদিকে আসামির পক্ষে অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করে বলেন, ‘আসামি তিন দিনের রিমান্ডে ছিল। গত ১১ ডিসেম্বর আসামি কানাডা থেকে দেশে আসে। ঘটনার দিন ১৪ ডিসেম্বর শাশুড়িকে ফোনে এলমার অসুস্থতার বিষয়টি জানায়। আসামি যদি তার স্ত্রীকে মেরে ফেলত তাহলে কি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেত। এমন কিছু করলে তো সে লাশ ফেলে পালিয়ে যেত। ঘটনার কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী দেখেছেন রুমের দরজা ভেঙে তাকে বের করা হয়েছে। আসামি যদি তাকে হত্যা করতো তাহলে তো দরজা ভেতর থেকে আটকালো কে?  হয়রানি করার জন্য আবার রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। ইফতেখার তার স্ত্রীকে বিদেশে নিতে সাত লাখ টাকা দিয়েছে। স্ত্রীকে বিদেশে নিয়ে যেতেই সে দেশে এসেছে। স্ত্রীকে হত্যা করেনি। বরং সে আত্মহত্যা করেছে।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ইফতেখারের ফের দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। গত ১৫ ডিসেম্বর এ আসামির ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

উল্লেখ্য, গত ১৪ ডিসেম্বর বিকেল চারটার দিকে রাজধানীর বনানীতে স্বামীর বাসায় মারা যান এলমা। তার শরীরে আঘাতের অনেক চিহ্ন দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন সহপাঠীরা। তবে এলমার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির মানুষের দাবি তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এলমাকে প্রথমে গুলশান ইউনাইটেড হসপিটালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই এলমার বাবা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় এলমার স্বামী ইফতেখার আবেদীন, শ্বশুর অবসর প্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আমিন ও শ্বাশুড়ি শিরিন আমিনকে আসামি করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com