পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় গত কয়েকদিন ধরেই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। আজও সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সোমবার সকাল ৯টায় সেখানে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রহিদুল ইসলাম।
জানা গেছে, আজ সকালটি শুরু হয় বেশ ঝলমলে রোদের আলোতেই। দীর্ঘ ১৫ দিন পর এদিন সূর্যের দেখা মিলেছে। এতে ক্ষণিকের জন্য হলেও স্বস্তি ফিরে আসে জনমনে। রোদের আলোতে বসে উষ্ণতা নিতে ঘরবাড়ি দোকানপাট থেকে বেরিয়ে আসেন শীতার্ত মানুুষ।
এর আগে, গত দু-এক দিন সূর্যের মুখ দেখা গেলেও তাতে উত্তাপ ছিল না। বিকেল গড়াতেই সূর্যের আলো মিলিয়ে যায়। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত অসম্ভব ঠান্ডা অনুভূত হয়। শীতে পঞ্চগড়ে নিম্ন আয় ও শ্রমজীবী মানুষের একটা বিরাট অংশ দুর্ভোগে পড়েন। সকালে অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বেশ কয়েকদিন ধরেই দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। দিন দিন তাপমাত্রা আরও কমে আসছে। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত থাকছে শীতের তীব্রতা। শনিবার উত্তরের এই জনপদে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার তা নেমে আসে চারের ঘরে, ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সোমবারও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
পঞ্চগড়ে সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত তাপমাত্রা খুবই কম থাকে। রাতে কুয়াশা বৃষ্টি ঝরে। এ সময় ঠান্ডার মাত্রা খুব বেশি হওয়ায় সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়ে। বিশেষ করে অসহায় ছিন্নমূল দরিদ্র মানুষ প্রচণ্ড ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে। তবে জানুয়ারিতে তাপমাত্রা আরও কমে আসতে পারে বলে এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। বেশির ভাগ রোগী শিশু ও বৃদ্ধ। প্রতিদিন শতাধিক রোগী বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গুরুতর অসুস্থরাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায় ৪০ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
এর আগে, ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় রেকর্ড করা হয়েছিল ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।