করোনার নতুন ভাইরাস ওমিক্রনে অনেকেরই চোখে সমস্যা দেখা দিয়েছে। দিতে পারো আরও। যেহেতু করোনা অতিসংক্রামক রোগ, তাই এ সময় চোখের নানা সমস্যায় সাধারণ মানুষ হাসপাতালে বা ডাক্তারের কাছে যেতে ভয় পান। এটা ঠিক, খুব জরুরি কোনো সমস্যা না হলে এ সময় বাইরে না যাওয়াই ভালো। আর গেলেও যথোপযুক্ত মাস্ক পরে যাওয়া ভালো।
কিছু জরুরি সমস্যা আছে, যেসব ক্ষেত্রে আপনাবে চিকিৎসকের কাছে যেতেই হবে। এ সময় চোখ লাল হওয়া বা চোখ ওঠা একটি সমস্যা। কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে করোনা রোগের প্রাথমিক লক্ষণও হতে পারে এটি। খেয়াল রাখতে হবে, এ ধরনের চোখ ওঠার সঙ্গে নাকের গন্ধ বা মুখের স্বাদ নষ্ট হয়েছে কিনা। শরীর বা গলাব্যথা, জ্বর বা পেটের পীড়া আছে কিনা। যদি চোখ লাল হওয়ার সঙ্গে ওপরে উল্লিখিত কোনো উপসর্গ থাকে, তবে অবশ্যই করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। নিজের সতর্কতা গ্রাম-গঞ্জে জেঁকে বসেছে শীত। শীতে রয়েছে করোনার প্রভাব। তাই নিজেকে এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। তবে সাবধানতার ক্ষেত্রে হালকা গরম পানি নির্যাস গ্রহণ করতে হবে। ১ ঘণ্টা অন্তত রোদ থেকে ভিটামিন-ডি গ্রহণ করতে হবে। এর মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায়।
এ ছাড়া হ্যান্ড স্যানিটাইজার (স্যাডলন) ব্যবহার করতে হবে ঘনঘন। মাস্ক, পিপিই ব্যবহার ও সতর্কতা বাড়িয়ে তুলতে হবে। তিন ফিট দূরত্ব অবলম্বন করতে হবে। ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ বাড়িয়ে দিতে হবে। এর মাধ্যমে শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে ওমিক্রনের ভয়াল থাবা থেকে অবশ্যই দূরে থাকা সম্ভব।
অনেকেরই চোখের ওপর করোনা ভাইরাস বিভিন্নভাবে প্রভাব ফেলেছে। কারও কারও ফুলে চোখ লাল হয়ে যাচ্ছে। সংক্রমন বাড়ছে কনজাংটিভায়। চোখ মুছে টিস্যু বা রুমাল সরিয়ে রাখতে হবে। ব্যবহার করতে হবে লুবরিকেশন। সচেতনতা বাড়িয়ে মহামারি মোকাবেলা করে আমরা জয় করব আগামীর বিশ্ব- এই হোক আমাদের প্রত্যয়।
লেখক : উপাচার্য এবং চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা